বুধবার, মার্চ ০৮, ২০১৭

বোকা বাক্স এবং রত্নদীপা



লিখেছেন : রত্নদীপা দে ঘোষ











তখন কটা হবে ... এই ধরো সাড়ে সাতটা ... বোকাবাক্সের 
ভেতরে বসে একটি চালাকরঙের কবিতা তৈরি করছিলাম। 
রাতের খাবার ... রাতের খাবার ... আর কিছু নয় ... কোথাও 
যেন একটা থিম ... মিউজিকে পিয়ানো ... সেই পিয়ানোর গন্ধে
একটি চমৎকার দারুসিজনের জন্ম হল  ...

ভুলে গেলাম কবিতা রাঁধতে  ... উপকূলটি যেমনটি ভুলে যায় 
ঘরে ফেরা পত্রপত্রিকার দুকূল ... 

সেই না-লেখা ... আর এই সদ্যলেখা সেমিকলন ... 
আঁকাবাঁকারা মুখ চিতিয়ে বলে উঠলো , হাতের লেখা ভালো নয় 
হে তোমার এই যে এতক্ষণ ধরে ধানগাছ আঁকলে আর তার 
হাঁটুতে লিখে ফেললে গোছা গোছা পালংশাক আর নটে মোড়ানো 
ক্লাসনোট , রান্নাঘর তোমার ফুলে ফেঁপে উঠলো পোকাপ্রজননে 
... অই যে গাছগাছালিরা বানান ভুল করে কড়াইতে ঢেলে দিল 
দেদার হলুদরঞ্জন ... মহোৎসব লেগে গেল অপরের লাললঙ্কা চুরি 
করে করে বর্ণচোরা খান দুই তেজপাতার প্রকাশনা ... ওহে তুমি 
যে ধান ভানতে শিবের গীত ... আলাভোলা ... খাবি খাও এবার 
হে মহুল সাংবাদিক রত্নদীপা ... 

দোহাই দাও বরং আল্লার দোহাই দাও । শিল পাটা আর গরম 
মশালার নদীতে গোড়ালি ডোবাও । রান্নাঘর তোমার জিমখানা 
নয় ... কবিতা রান্না করার আগে প্রথমে শেখো র ... র থেকে 
রেলিং ... হেঁসেলের সনেট বেয়ে উঠে দাঁরাও ... অইখানে , ঠিক 
ওইখানেই এক গোছা গফুর ... আমিনা ... ওদের চোখে ভাত ... 
পান্তাভাত ফুটছে খইফুলের মত ...আর লিমেরিকের নীলসরা ... 
ডেকচিভরা ... জলঢাকা গদ্যকবিতার রিমঝিম প্রতিমা ..

খিদে জ্বলছে ...বিসর্জনের আগে জ্বলেই নিবে যাচ্ছে ...

 অই নিবন্ত জল থেকে তৈরি হোক জন্নতের চুলাচৌকি

আকাশে পাক খাও আর খেতে খেতে নেমে এসো মাটিতে

খ্রিষ্টাব্দ পুরানো ক্ষুধার্ত মিছিলের মুখে জ্বলুক আগুন  ...



আগুন বড় হলে তখন রান্না কোরো

রান্না করো ভুখামানুষের আঁচ ...

ডাল রুটি আর চালের ব্যালট



সুবাস  ...

কোন মন্তব্য নেই: