লিখেছেন : জিরো টু ইনফিনিটি
কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন স্তন ক্যান্সারের সারফেসে এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর থাকে এবং ঐ পুরুষ হরমোনগুলো টেস্টোস্টেরন ফুয়েলের মত টিউমারের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। American Association for Cancer Research’এর এক সভায় গবেষকরা বলেন এই ধরনের রিসেপ্টরকে ব্লক করতে ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং তারা এটা পরীক্ষা করতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে চান।
কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন স্তন ক্যান্সারের সারফেসে এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর থাকে এবং ঐ পুরুষ হরমোনগুলো টেস্টোস্টেরন ফুয়েলের মত টিউমারের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। American Association for Cancer Research’এর এক সভায় গবেষকরা বলেন এই ধরনের রিসেপ্টরকে ব্লক করতে ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং তারা এটা পরীক্ষা করতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে চান।
ডঃ জেনিফার রিচার এবং তার সহকর্মীরা জানান তিন ভাগের এক ভাগ স্তন ক্যান্সারের সারফেসেই এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর থাকে আর তাই এন্টি-এন্ড্রোজেন থেরাপি এক্ষেত্রে বেশ ফলদায়ক হতে পারে। আর এই পদ্ধতিটি ইতোমধ্যেই অন্যান্য ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে জানেন যে অস্ট্রোজেন এবং প্রগেস্টেরনের মত কিছু স্ত্রী হরমোন স্তন ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। ‘টামক্সিফেন’ নামক ওষুধের ব্যবহারে এ ধরণের ক্যান্সারের মোকাবেলা করা হয় সারা বিশ্বে। কিন্তু ডঃ জেনিফার এবং তার সহকারীদের গবেষণা যেহেতু বলছে যে স্তন ক্যান্সারের জন্যে কিছু পুরুষ হরমোনও দায়ী, তাহলে এর প্রতিষেধক কি? গবেষক দল বলছেন এ ধরণের ক্ষেত্রে এন্টি-এন্ড্রোজেনই উৎকৃষ্ট।
তারা অনেক স্তন টিউমারে দেখেছেন সেগুলোর পেছনে অস্ট্রোজেন এবং এন্ড্রোজেন উভয় রিসেপ্টরেরই প্রভাব রয়েছে। এবং এ ধরণের টিউমারের ক্ষেত্রেও এন্টি-এন্ড্রোজেন ব্যবহারে সফলতা পেয়েছেন তারা। অস্ট্রোজেনের প্রভাবে উদ্ভব ঘটা স্তন ক্যান্সারের ওষুধ হিসেবে ‘টামক্সোফিন’ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কিছু রোগী থাকেন যাদের টামোক্সোফিনে কাজ হয় না। তাদের ক্ষেত্রেও এন্টি-এন্ড্রোজেন সফল হবে বলে জানান জেনিফার।
তিনি বলেন, “আমরা মুখিয়ে আছি এন্টি-এন্ড্রোজেন থেরাপির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে। ”Cancer Research UK’এর ডঃ এমা স্মিথ বলেন, “তাদের ঐ গবেষণা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও আমি এর মধ্যে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি নতুন কিন্তু শক্তিশালী পথের সূচনা দেখছি।”তথ্যসূত্রঃ বিবিসি
“জিরো টু ইনফিনিটিঃ একটি মাসিক বিজ্ঞান সাময়িকী”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন