(ধারাবাহিকের ১ম পর্বঃ) লিখেছেন মনোবর
হে পুরবাসীগন, শ্রবণ করুনঃ অতঃপর তিনবার
তোপধ্বনির পর অপূর্বদূতি সম্পন্ন হীরক স্বর্নাদি ভূষনে সজ্জিত, মণিমানিক্য খচিত রাজমুকুট পরিহিত উজ্জ্বল দীপ্তিময়, মহামান্য সম্রাট মনোবর রাজসভায় প্রবেশকরতঃ ময়ুরসিংহাসন অপেক্ষা কোটিগুন
শ্রেষ্ঠ সিংহাসনোপরি উপবেশন করিলেন । অমনি উপস্থিত সভাসদগণ পরম শ্রদ্ধায় স্বীয়
স্বীয় মস্তক অবনত পূর্বক দন্ডায়মান হইয়া ধন্য ধন্য রবে দশদিক পূর্ণ করিয়া দিলেন। শঙ্খ, দুন্দুভি, কাড়া-নাকাড়া, বীনা,
সেতার, সরোদ সহ খোল, কত্তাল, ঝুমঝুমি বাজিতে লাগিল। তৎসহ রোল্যান্ড সিন্থেসাইজার,অক্টোপ্যাড এবং শত শত
বেহালা এবং স্প্যানিশ গীটারাদি আধুনিক বাদ্যগুলিও প্রবল নাদ উদ্গীরণ পূর্বক আপন আপন
দক্ষতা উপস্থাপনের চেষ্টায় নিমগ্ন হইল। সমগ্র রাজপ্রাসাদ সহ যাবতীয় সভাসদ্গণ এই পুন্যলগ্নে শব্দপ্রাবল্যে কম্পিত হইতে
লাগিল। অতঃপর সেই আদিত্যসম কান্তিবিশিষ্ট শতাব্দীশ্রেষ্ঠ মহারাজাধিরাজ ও আমেরিকা সহ
গোটা ইউরোপ মহাদেশদ্বারা প্রদত্ত সম্রাট উপাধিধারী মনোবর নামক মানবশ্রেষ্ঠ আপন দক্ষিণ
হস্ত উত্তোলন পুর্বক নীরবতার আদেশ দান করিলে সমগ্র সভাস্থল ভয়ানক মৃত্যুপুরীর ন্যায়
নিঃশব্দ হইয়া পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষা করিতে লাগিল।
অন্যদিকে কতিপয় অপ্সরাসম রূপবতী অষ্টাদশী যুবতী মহারাজের প্রসন্নতাহেতু আপন আপন অঞ্চল দ্বারা বাতাসকরতঃ মহারাজের দেবতনুনিঃসৃত ঘর্মরাজি গায়েব করিবার পূণ্যব্রত পালনে তৎপর হইয়া উঠিল। অঞ্চলের আন্দোলনকালে প্রকাশিত তাহাদের অপূর্বদেহসৌষ্ঠব উপস্থিত অমাত্যসকলের চিত্তবৈকল্যের কারণ হইয়া পড়িল। এইরূপ চিত্তচাঞ্চল্য মহারাজের কার্তিকসম ভ্রূ-যুগল কুঞ্চিত করিলে অমাত্যগন অনিচ্ছাসত্বেও দৃষ্টিসকল অর্ধনমিত করিলেন। তদবধি মহারাজের ভ্রূ-যুগল পুনরায় স্বাভাবিক রূপ পরিগ্রহ করিল। এবং এইসময় মহারাজ বিজ্ঞাপনের বিরতি ঘোষণা করিলেন। অতঃপর সহস্রমুখী রুদ্রাক্ষ,বিফলে মূল্যফেরত কবচ এবং ইস্পাহানী তেল ইত্যাদির বিজ্ঞাপনান্তে নরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করিলেন অদ্যকার বিশেষ দিনটি তাহার ফেসবুক বান্ধব/ বান্ধবীগনের বিশেষ স্মরণদিবস হিসাবে উদ্যাপিত করা হইবে। অমনি প্রাসাদের উচ্চকোন হইতে অপূর্ব ছন্দে সানাই বাদন শুরু হইল। পানাসক্ত অমাত্যগণ যাহাতে নিরাশ না হইয়া পড়েন সেহেতু নরশ্রেষ্ঠ হুকুম জারি করিলেন তাহারা এই অবসরে প্রাসাদের বাহিরে অবস্থিত চিনিরচটের তাঁবুতে আত্মগোপন পূর্বক মদ্যপানে গদ্যময় হইয়া দুর্লভ মানবজীবন ইচ্ছামত খরচ করিতে পারেন। এই অভাববনীয় উদারতা বহুকন্ঠে ধন্য ধন্য রব তুলিয়া সানাইয়ের ক্রন্দনে ডাইলুট হইল। অন্যদিকে প্রিয় বন্ধু ও বান্ধবীগণ একে একে সভায় প্রবেশ করিতে লাগিলেন।প্রথমেই আসিলেন উড়ুমনপাগল। তাহার মুখমন্ডল ঘন দাঁড়িতে শোভিত এবং খুশীতে দন্তসমূহ পূর্ণ প্রকাশিত দেখিয়া সম্রাট তাহাকে প্রধান মন্ত্রীপদে অভিষিক্ত করায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মুখ ম্লান হইলে সভাস্থলে সামান্য গুঞ্জন শুরু হইল।তৎপরে প্রবেশ করিলেন অর্নব-অমল ও বহুরঙ্গ দে। ইহারা পুর্ব পরিচিত হওয়ার মন্দস্বরে মত বিনিময় করিতে করিতে আপন আপন আসন গ্রহন করিলেন।
এইরূপে উদ্দীপন অগ্রবর্তী, নির্বান নির্ভীক, প্রভৃতি বহু প্রতিভাবান পুরুষ সভাস্থল সমুজ্জ্বল করিয়া তুলিলে অতঃপর অনন্য বৈশিষ্টবিশিষ্ট বান্ধবীবর্গ একে একে সভায় প্রবেশ করিতে লাগিলেন। প্রথমেই প্রবেশ করিলেন ঝুম্পা নভঃমন্ডল। ইহার কবিত্বপ্রতিভা ইহলোক পরলোক সর্বত্র আলোড়িত করায় তাহার দর্শনমাত্র সভায় হাততালির ঝড় বহিতে লাগিল। পুরনারীগণ এবং অন্যান্য নারীবন্ধুরা তাহার ইদৃশ জনপ্রিয়তা অবলোকনে মনে মনে ঈর্ষান্বিত হইয়া পড়িলেন। ঝুম্পাদেবী অন্যমনস্কভাবে আসনে উপবেশন করামাত্র সেগু্নকাষ্ঠ নির্মিত আসনটি ইষ্টনাম জপিতে লাগিল। তাহার ভার বড় অধিক হইয়াছিল।
ইহার পর আসিলেন পানশালার কবি। সকলেই উৎসুক হইয়া তাহার মুখশ্রী অবলোকনের প্রয়াস করিল কিন্তু তাহা বিফল হইল। তিনি একখন্ড মসলিনে মুখমন্ডল আবৃত করিয়া আসন গ্রহণ করিলেন। আশ্চর্যের বিষয় ঐ মসলিন রক্তমাখা এবং উহাতে লেখাছিল ‘রক্তপিপাসু পুরুষ জাতিকে ধিক্কার!’ এই অপুর্ব কৌশলে তিনি সমস্ত মনোযোগ লুন্ঠন করায় ঝুম্পাদেবী রুষ্ট হইলেন এবং ঘন ঘন অস্থির ভাবে অবস্থান পরিবর্তন করিতে লাগিলেন এই সময় সেগুন কাঠের আসবাবটি পিতৃনাম বিস্মৃত হইয়া প্রানপণ চেষ্টায় রাশিকৃত ক্রোধ সমেত ঝুম্পাদেবীর তনুরাজি সাফল্যের সহিত ধারণ করিয়া রাখিবার এক দারণ সংগ্রামে রত হইল। অপর এক অভ্যাগত যাহার নাম আমি মরীচীকা তিনি এই দৃশ্য অবলোকনে সশব্দে হাসিয়া ফেলায় নরশ্রেষ্ঠ সেই হাসিতে যোগদান করিলেন আর সভায় এক অপুর্ব আনন্দ বিরাজ করিতে লাগিল।
এই সময় পুনরায় বিজ্ঞাপনের বিরতি ঘোষণা করা হইল। (ক্রমশঃ)
অন্যদিকে কতিপয় অপ্সরাসম রূপবতী অষ্টাদশী যুবতী মহারাজের প্রসন্নতাহেতু আপন আপন অঞ্চল দ্বারা বাতাসকরতঃ মহারাজের দেবতনুনিঃসৃত ঘর্মরাজি গায়েব করিবার পূণ্যব্রত পালনে তৎপর হইয়া উঠিল। অঞ্চলের আন্দোলনকালে প্রকাশিত তাহাদের অপূর্বদেহসৌষ্ঠব উপস্থিত অমাত্যসকলের চিত্তবৈকল্যের কারণ হইয়া পড়িল। এইরূপ চিত্তচাঞ্চল্য মহারাজের কার্তিকসম ভ্রূ-যুগল কুঞ্চিত করিলে অমাত্যগন অনিচ্ছাসত্বেও দৃষ্টিসকল অর্ধনমিত করিলেন। তদবধি মহারাজের ভ্রূ-যুগল পুনরায় স্বাভাবিক রূপ পরিগ্রহ করিল। এবং এইসময় মহারাজ বিজ্ঞাপনের বিরতি ঘোষণা করিলেন। অতঃপর সহস্রমুখী রুদ্রাক্ষ,বিফলে মূল্যফেরত কবচ এবং ইস্পাহানী তেল ইত্যাদির বিজ্ঞাপনান্তে নরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করিলেন অদ্যকার বিশেষ দিনটি তাহার ফেসবুক বান্ধব/ বান্ধবীগনের বিশেষ স্মরণদিবস হিসাবে উদ্যাপিত করা হইবে। অমনি প্রাসাদের উচ্চকোন হইতে অপূর্ব ছন্দে সানাই বাদন শুরু হইল। পানাসক্ত অমাত্যগণ যাহাতে নিরাশ না হইয়া পড়েন সেহেতু নরশ্রেষ্ঠ হুকুম জারি করিলেন তাহারা এই অবসরে প্রাসাদের বাহিরে অবস্থিত চিনিরচটের তাঁবুতে আত্মগোপন পূর্বক মদ্যপানে গদ্যময় হইয়া দুর্লভ মানবজীবন ইচ্ছামত খরচ করিতে পারেন। এই অভাববনীয় উদারতা বহুকন্ঠে ধন্য ধন্য রব তুলিয়া সানাইয়ের ক্রন্দনে ডাইলুট হইল। অন্যদিকে প্রিয় বন্ধু ও বান্ধবীগণ একে একে সভায় প্রবেশ করিতে লাগিলেন।প্রথমেই আসিলেন উড়ুমনপাগল। তাহার মুখমন্ডল ঘন দাঁড়িতে শোভিত এবং খুশীতে দন্তসমূহ পূর্ণ প্রকাশিত দেখিয়া সম্রাট তাহাকে প্রধান মন্ত্রীপদে অভিষিক্ত করায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মুখ ম্লান হইলে সভাস্থলে সামান্য গুঞ্জন শুরু হইল।তৎপরে প্রবেশ করিলেন অর্নব-অমল ও বহুরঙ্গ দে। ইহারা পুর্ব পরিচিত হওয়ার মন্দস্বরে মত বিনিময় করিতে করিতে আপন আপন আসন গ্রহন করিলেন।
এইরূপে উদ্দীপন অগ্রবর্তী, নির্বান নির্ভীক, প্রভৃতি বহু প্রতিভাবান পুরুষ সভাস্থল সমুজ্জ্বল করিয়া তুলিলে অতঃপর অনন্য বৈশিষ্টবিশিষ্ট বান্ধবীবর্গ একে একে সভায় প্রবেশ করিতে লাগিলেন। প্রথমেই প্রবেশ করিলেন ঝুম্পা নভঃমন্ডল। ইহার কবিত্বপ্রতিভা ইহলোক পরলোক সর্বত্র আলোড়িত করায় তাহার দর্শনমাত্র সভায় হাততালির ঝড় বহিতে লাগিল। পুরনারীগণ এবং অন্যান্য নারীবন্ধুরা তাহার ইদৃশ জনপ্রিয়তা অবলোকনে মনে মনে ঈর্ষান্বিত হইয়া পড়িলেন। ঝুম্পাদেবী অন্যমনস্কভাবে আসনে উপবেশন করামাত্র সেগু্নকাষ্ঠ নির্মিত আসনটি ইষ্টনাম জপিতে লাগিল। তাহার ভার বড় অধিক হইয়াছিল।
ইহার পর আসিলেন পানশালার কবি। সকলেই উৎসুক হইয়া তাহার মুখশ্রী অবলোকনের প্রয়াস করিল কিন্তু তাহা বিফল হইল। তিনি একখন্ড মসলিনে মুখমন্ডল আবৃত করিয়া আসন গ্রহণ করিলেন। আশ্চর্যের বিষয় ঐ মসলিন রক্তমাখা এবং উহাতে লেখাছিল ‘রক্তপিপাসু পুরুষ জাতিকে ধিক্কার!’ এই অপুর্ব কৌশলে তিনি সমস্ত মনোযোগ লুন্ঠন করায় ঝুম্পাদেবী রুষ্ট হইলেন এবং ঘন ঘন অস্থির ভাবে অবস্থান পরিবর্তন করিতে লাগিলেন এই সময় সেগুন কাঠের আসবাবটি পিতৃনাম বিস্মৃত হইয়া প্রানপণ চেষ্টায় রাশিকৃত ক্রোধ সমেত ঝুম্পাদেবীর তনুরাজি সাফল্যের সহিত ধারণ করিয়া রাখিবার এক দারণ সংগ্রামে রত হইল। অপর এক অভ্যাগত যাহার নাম আমি মরীচীকা তিনি এই দৃশ্য অবলোকনে সশব্দে হাসিয়া ফেলায় নরশ্রেষ্ঠ সেই হাসিতে যোগদান করিলেন আর সভায় এক অপুর্ব আনন্দ বিরাজ করিতে লাগিল।
এই সময় পুনরায় বিজ্ঞাপনের বিরতি ঘোষণা করা হইল। (ক্রমশঃ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন