লিখেছেন : মনোবর
গোটা পৃথিবী এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থায় আছে। আগে ছিল অনাথ। যে যেমন খুশী এই পৃথিবীকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। কে কোন দিকে ঘোড়া ছোটাবে, কার মাল কে লুট করবে তার কোন ঠিক ঠিকানা ছিলনা। দলে যারা ভারী, হিংসায় যারা পটু তারাই নানা উপাধি টুপাধি ধারণ করে সব ভোগ দখল করত। এইসব বড় বড় দলে একজন কে নেতা মানা হত। সেই নেতাকে অনেক কিছু করে দেখাতে হত। এখনকার মত বাহাত্তুরে বুড়োকে নেতা করলে তখন কেউ মানত না। আলেকজান্ডার আঠার বছর বয়সে পৃথিবী জয় করতে বেরিয়ে যে-সব কান্ড ঘটিয়ে ছিলেন তার খানিকটা ঠিক ঠাক লিখে দিতে পারলেই এখনকার যুগে তুমি ডক্টর অব হিস্ট্রী হয়ে যাবে তবে তার আগে পরীক্ষার ফি টি সব কতৃপক্ষের হাতে পড়া চাই। আর মহিলা হলে কিছু এক্সট্রা দিতে হতে পারে সেটা কোন ইউনিভারসিটি থেকে ডিগ্রীটা চাও তার উপর নির্ভর করবে।
গোটা পৃথিবী এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থায় আছে। আগে ছিল অনাথ। যে যেমন খুশী এই পৃথিবীকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। কে কোন দিকে ঘোড়া ছোটাবে, কার মাল কে লুট করবে তার কোন ঠিক ঠিকানা ছিলনা। দলে যারা ভারী, হিংসায় যারা পটু তারাই নানা উপাধি টুপাধি ধারণ করে সব ভোগ দখল করত। এইসব বড় বড় দলে একজন কে নেতা মানা হত। সেই নেতাকে অনেক কিছু করে দেখাতে হত। এখনকার মত বাহাত্তুরে বুড়োকে নেতা করলে তখন কেউ মানত না। আলেকজান্ডার আঠার বছর বয়সে পৃথিবী জয় করতে বেরিয়ে যে-সব কান্ড ঘটিয়ে ছিলেন তার খানিকটা ঠিক ঠাক লিখে দিতে পারলেই এখনকার যুগে তুমি ডক্টর অব হিস্ট্রী হয়ে যাবে তবে তার আগে পরীক্ষার ফি টি সব কতৃপক্ষের হাতে পড়া চাই। আর মহিলা হলে কিছু এক্সট্রা দিতে হতে পারে সেটা কোন ইউনিভারসিটি থেকে ডিগ্রীটা চাও তার উপর নির্ভর করবে।
কালিগুলা, নীরো, হানিবল, অ্যাটিলা, চেঙ্গিজ রা যদি বইয়ের বস্তা বইতে
বইতে বুড়ো হয়ে যেত তবে আমরা কবেই তাদের ভুলে যেতুম। কিন্তু ভোলবার উপায় রাখেনি।
ওদের মহান সব কীর্তি কাহিনী পড়লে নিজের পিতৃপরিচয় ভোলা যদিও বা সম্ভব হয় কিন্তু
উহাদের বিস্মৃত হওয়া নামুকিন।
তাহলে আমার বক্তব্যের সারমর্ম কি দাঁড়াচ্ছে? দাঁড়াচ্ছে এই যে
অভিভাবকহীন পৃথিবীতে কিছু করে না দেখালে কলকে পাওয়া যেতনা। নেতা হওয়া তো দূর কী
বাত! তবে কি আমি বলতে চাইছি এখন এমনি এমনি সব হওয়া যায়। না, তা বলতে চাইছি না। এখনও
করে দেখাতে হয়। তবে তাতে ঝুঁকি খুব সামান্য। সামান্য ঝুঁকি নিয়ে অসামান্য ফল পাবার
রাস্তাটা প্রথম বুদ্ধি খাটিয়ে বার করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। কষ্ট বলতে ঐ না খেয়ে
হত্যে দিয়ে পড়ে থাকা। তোমার মুন্ডু কেউ কচাৎ করে উড়িয়ে দিচ্ছেনা বা কলা মাখান দড়িও
গলায় পরিয়ে ধাক্কা দিয়ে খালায় ঠেলে ফেলছে না। জেলের ভয় ছিল। জেল তত মারাত্মক কিছু
নয়। পোকা কাটা চালের ভাত, লাল আটার রুটি এসব তুমি সেখানে পাবে। কেননা ততদিনে যুগ
অনেক আগিয়ে এসেছে। বিচার বলে একটা হাতুড়ি ঠোকা ব্যাপার চালু হয়ে গেছে। নাম্বারের
বিচারে চেঙ্গিজ আটানব্বই পেলে গান্ধীজীকে পনের ষোল দেওয়া যায়। কারণ অর্ধেক পৃথিবী
না হোক ভারতের মত মহাবিচিত্র এক দেশ স্বাধীন করার ব্যাপারে তার অবদান তো আর উড়িয়ে
দেওয়া যাবেনা। কিন্তু সঠিক ভাবে বিচার করলে গান্ধীজী ৩৫ পাবেন। তখন পৃথিবীতে একজন
বড় অভিভাবক ছিল যে। ঐ বৃটিশদের কথা বলছি। সভ্য বলে ওদের তখন বেশ নামডাক। বন্দুক
নিয়ে লড়তে গেলে গান্ধীজী ফক্কা হয়ে যেতেন। তাই ঐ অনশন করে সভ্যতায় কালি পড়ার ভয়
দেখিয়ে মাল আদায় করা নীতি। সুপারহিট নীতি। এখনও কাজে দিচ্ছে। আন্নাজী তার প্রমাণ।
উনি অবশ্য যেটা চাইছেন সেই সোনার পাথরবাটি হওয়া মানে দূর্নীতিমুক্ত ভারত হওয়া
বাস্তবে সম্ভব নয়। তবে ওনার নামডাক বাড়বে। অনশন করে যদি দেহত্যাগ করতে পারেন তবে
ঘরে ঘরে একদিন ওর ফটোপুজো পর্যন্ত হওয়া সম্ভব। কিন্তু দুর্নীতি মুক্ত ভারত হওয়া
সম্ভব নয়। আপাতত এই প্রশ্নে যাবনা। ওটা আবার আরেকদিন না হয় হবে।
তাহলে এইসময় বলতে আমি কোন সময়কে বোঝাচ্ছি? বর্তমান সময়কে বোঝাচ্ছে।
যখন সারা পৃথিবীতে একজন প্রবল প্রতাপশালী অভিভাবক বর্তমান। সাদ্দাম কুয়েত দখল করে
কেন ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন? কারন অভিভাবকরা সেটা অনুমোদন করেন নি। কোন দেশে কে
সরকার গড়বে, কাকে কতদূর নিয়ে যাওয়া হবে, কাকে গাছে তুলে আবার দুম করে নীচে ফেলে
দেওয়া হবে সেটা এখন এই অভিভাবকের হাতে। বাঘ বৃটিশ এখন বেড়ালে পরিণত হয়েছে আর
সেদিনের বাচ্চা হাতী আমেরিকা এখন ডাইনোসরে পরিণত। রুজভেল্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
চার্চিল কে বাঁচিয়েছিলেন। তারপর আমেরিকা বিশ্বজয়ের স্বপ্নদেখা শুরু করে। পথের
কাঁটা রাশিয়াকে নখ দন্তহীন করে আরবভূমিকে কব্জা করে এখন তার নজর ভারত বাংলাদেশ আর
পাকিস্থানের দিকে। কেননা চীন বেশ বেড়ে উঠছে ঐ বেঁড়ে দাদাকে ধরতে গেলে এই তিনটে দেশ
কে দরকার হবে। উত্তর কোরিয়াকে ঠান্ডা করা হবে দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপান দিয়ে।
বাংলাদেশ কে ভারতবিদ্বেষী করার জন্য আওয়ামীলিগ কে হঠান দরকার। ওখানে বর্তমান
জামাতীদের গাছের মগডালে তুলে তারপর একদিন দুম করে তাদেরও শুইয়ে দেওয়া হবে। বেশ
জটিল পরিকল্পনা। এসব দেশকে একটু আগুনে না পোড়ালে পছন্দমত খাঁটি সোনায় তো আর পরিণত
করা যাবেনা। তাই পোড়াবার ভাল রকম ব্যবস্থা হবে। নরেন্দ্রমোদী ভার্সেস জামাত ই
ইসলামী দিয়ে শুরু করলে মন্দ হবেনা। রনতরী ভেড়াবার সুযোগের জন্য এর সঙ্গে পাকিস্থান
কে নামিয়ে দিলেই চলবে। ভারতের তো আর হিম্মৎ হবেনা যে আমেরিকার বিরুদ্ধে পরমানু
যুদ্ধের হুমকি দেবে। রাহূল আবার যুবক ছেলে, মাথাগরম হতে পারে। ওসব আস্তিনগোটানো
মাল চলবে না। তা ছাড়া ওর পালে হাওয়াও নেই। মোদী না এলে অশান্তি বাঁধাবার মওকাটা
দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
করে দেখাবার লোক এখনও আছে। শুধু বিধবা ভাতা আর সাইকেল প্রদান করে তো
আর ইতিহাস রচনা করা যাবেনা। ইতিহাস রচনা করবে নব যুগের চেঙ্গিজ ইউনাইটেড নেশনস অব
আমেরিকা। হ্যাঁ এই সময় তারই বার্তা দিচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন