লিখেছেন : পাপ্পন দাস

'শেষ রাতের দিকে ঘুম পায় সুরঞ্জনের।ঘুমের মধ্যে অদ্ভুত এক দু:স্বপ্ন দেখে সে।একা একটি নদীর পাড়ে সে হাঁটছে।হাঁটতে হাঁটতে দেখে নদীর একটি ঢেউ তাকে নিয়ে যাচ্ছে গভীরে,সে পাকে পড়ছে,তলিয়ে যাচ্ছে।
সুরঞ্জনের সারা শরীর ঘামতে থাকে।সে তলিয়ে যেতে থাকে ফুঁসে ওঠা অচেনা জলে।সুরঞ্জনের এমন অস্থির সময়ে একটি শান্ত স্থির হাত সুরঞ্জনকে স্পর্শ করে,জাগায়।সুরঞ্জন ধড়ফড় করে উঠে বসে।ভয়ে নীল হয়ে গেছে তার মুখ।পাক খাওয়া জল তাকে ডুবিয়ে নিচ্ছিল,বাঁচবার জন্য সে প্রাণপণ চিৎকার করছিল,একটি খড়কুটোও আঁকড়ে ধরবার জন্য যেমন সে হাত বাড়াচ্ছিল স্বপ্নের মধ্যে,সুরঞ্জন তেমন আঁকড়ে ধরে সুধাময়ের হাত।সুধাময় এসে বসেছেন সুরঞ্জনের বিছানায়।
সুধাময় কিরণময়ীর কাঁধে ভর রেখে হেঁটে এসেছেন।অল্প অল্প শক্তি ফিরছে তার শরীরে।কিরণময়ী সুধাময়কে ধরে রাখে দু'হাতে।
বাবা?সুরঞ্জন আর কোনও কথা বলতে পারে না।একটি বোবা জিজ্ঞাসা সুরঞ্জনের মুখে।তখন ভোর হচ্ছে।জানালার দু'টো তিনটি ছিদ্রপথে আলোর মুখ দেখা যায়।
সুধাময় বলেন,সুরঞ্জন চল চলে যাই।
অবাক হয়ে সুরঞ্জন জিজ্ঞাসা করে,কোথায় যাব বাবা?
সুধাময় বলেন---ইন্ডিয়া।
সুধাময়ের বলতে লজ্জা হয়,তাঁর কণ্ঠ কাঁপে,তবু তিনি চলে যাবার কথা বলেন;
কারণ এতদিনে তার ভেতরে গড়ে তোলা শক্ত পাহাড়টিও দিনে দিনে ধসে পড়েছে।'
পাঠক-পাঠিকারা নিশ্চয় বিস্মৃত হয়ে যান নি যে, এটা তসলিমা নাসরিনের লজ্জা উপন্যাসের শেষ অধ্যায়।যে উপন্যাসের জন্য সারা বাংলাদেশ জুড়ে তাঁর মুণ্ডুপাত হয়।তাঁর ময়মনসিংয়ের বাড়ির ওয়াল থেকে শুরু করে সারা দেশের দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার--'তসলিমা নাম্নী এক কুলটা কুলাঙ্গার,যৌনাচারী পাপাচারী ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলুন।'..তাঁকে নিয়ে প্রচুর রঙ্গ করা হয়।প্রকাশ্য জনসভায় তাঁর মাথার মূল্য ঘোষণা করা হয়।এবং শেষমেশ তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
তাঁর এই উপন্যাসের সুধাময় এবং সুরঞ্জনের মত অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে এ দেশে এসেছেন।কিন্তু সবাই ভালো একটা কিছুর আশায়,ভালো ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে।তবে এরকমও অনেকে আছেন,যারা শুধু অন্ধকার জগতের বাসিন্দা এবং এই অন্ধকারের সাহায্য নিয়েই তারা বাংলাদেশ ছেড়ে এ দেশে পাড়ি দিচ্ছেন।
এই তো গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতের অন্ধকারে অসমের করিমগঞ্জ
জিলার জাড়াপাতা গ্রামের দীপন শুক্লবৈদ্য নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় বাংলাদেশের কিছু দুষ্কৃতী।এখানে উল্লেখ্য যে,কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের কিছু দুষ্কৃতী তার বাড়িতে হানা দেয়,এবং সে দিন তারা তার একটি গরুও নিয়ে যায়।ঠিক সেভাবে সে দিন রাত্তিরেও দুষ্কৃতীরা তার বাড়িতে হানা দেয়।তার এই বাড়িটি কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে।তাই এই বাড়িতে হানা দেওয়া দুষ্কৃতীদের জন্য খুব একটা কঠিন কাজ নয় বটে।
সে দিন যখন দুষ্কৃতীরা দীপন শুক্লবৈদ্যের বাড়িতে হানা দেয়,বাড়িতে তখন ছিলেন শুধুমাত্র তার স্ত্রী কল্পনা শুক্লবৈদ্য এবং তাদের দুই কন্যা---প্রিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা ।দুষ্কৃতীরা যখন রাতের অন্ধকারে হাত সাফাই করছিল,কল্পনা তখন কিছু শব্দ শুনতে পান।এবং বেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীদের দেখতে পান।স্বাভাবিক ভাবেই তিনি তাদের সামনে প্রতিরোধের দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান।কিন্তু দুষ্কৃতীরা তখন তার ওপর চড়াও হয়।তার দুই মেয়ে যখন বাঁধা দিতে আসে, দুষ্কৃতীরা তখন তাদের ওপরও চড়াও হয়,এবং তাদের মারধর করে।চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের মানুষ জেগে ওঠেন।এবং তারা যখন এগিয়ে আসেন,দুষ্কৃতীরা তখন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে কল্পনা বিএসএফ জওয়ানদের এই ব্যাপারে অবগত করেন। তারা তাকে এবং তার কন্যাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।এবং পরের দিন এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সারা শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।কিছু সংগঠনও এই ঘটনার প্রতিবাদে মাঠে নামে,এবং সংগঠনের সদস্যরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের সাজা করার আহ্বান জানান।
এদিকে,সে দিন এক বহুল প্রকাশিত সংবাদপত্রে এই ব্যাপারে একজনকে লিখতে দেখলাম যে,'এ দিকে এই দুষ্কৃতী তাণ্ডব রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন একাংশ এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাংশের বক্তব্য,অভিযুক্ত সাহাব উদ্দিন প্রায়শই কল্পনা শুক্লবৈদ্যের ঘরে ব্যবসা সূত্রে আসা-যাওয়া করত বলে লক্ষ্য করা গিয়েছে।তাদের মতে,ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত মতানৈক্য এই মারধরের প্রধান কারণ হতে পারে বলে সন্দেহ।সূত্র মতে জানা গেছে,কল্পনা শুক্লবৈদ্যের ঘর থেকে পশ্চিম দিকে পা বাড়ালেই বাংলাদেশ সীমান্ত সিল।আর কল্পনার ঘর থেকে একশ মিটার দূরে(বাংলাদেশ) প্রধান অভিযুক্ত সাহাব উদ্দিনের ঘর।শেষপর্যন্ত সঠিক তদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে এলাকাবাসীর বক্তব্য।তদন্তে যাতে নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হন......'
এ জায়গায় আমার বক্তব্য,প্রতিবেদনকারী শুধুমাত্র এলাকাবাসী আর সূত্রের দোহাই দিয়ে নির্যাতিতা কল্পনা শুক্লবৈদ্যকে কাঠগড়ায় তুলে দিলেন।তিনি কি জানেন না যে,রাতের অন্ধকারে এরকম প্রচুর দুষ্কৃতী কাঁটাতারের বেড়ার জাল ভেদ করে কিংবা বেড়া না থাকার সুযোগ নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে তাদের দুষ্কর্মকে সঠিক রূপ দিয়ে থাকে?তাই এখানে আমি বলতে চাই,কোনওমতেই কেউ সূত্র কিংবা অন্য কিছুর দোহাই দিয়ে কল্পনা শুক্লবৈদ্যের নির্যাতনের দৃশ্যকে ছোট করে দেখাতে পারেন না।
ঘটনার পরের দিনই পুলিশ ও বিএসএফের দুই আইজি শিলচর থেকে তড়িঘড়ি করিমগঞ্জ ছুটে আসেন।ঘটনার বিস্তারিত জেনে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকেও তারা এই ব্যাপারে অবগত করান।তারপর বিকেলের দিকে সুতারকান্দি সীমান্তে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসেন বিএসএফ এবং বিজিবির সদস্যরা।বিএসএফ-র তরফ থেকে বিজিবি-র কাছে আর্জি রাখা হয় যাতে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করা হয়।সেই আর্জিমত তারা(বিজিবি) কাজও করে।ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই তারা তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে।করিমগঞ্জ পুলিশ তাদের কাছে যে তথ্য তুলে দেয়,তার ভিত্তিতেই বাংলাদেশের বড়্গ্রাম এলাকা থেকে দুষ্কৃতীদের আটক করে তারা।এদের নামও প্রকাশ্যে আসে।এদের নাম---আজমল,জাবেব এবং সাহাব উদ্দিন।যদিও সেই তিন দুষ্কৃতীকে ছেড়ে দিয়েছে সিলেটের আদালত।গত শুক্রবারই বাংলাদেশের সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পঞ্চম আদালতের বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।বাকি দুষ্কৃতীদের এখনও ধরতে পারে নি বাংলাদেশের আধিকারিকেরা।
এদিকে,জাড়াপাতার দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনা সে দিন বিধানসভায়ও স্থান পায়।বিধানসভার জিরো আওয়ারে এই বিষয় উত্তাপন করেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ককুমার মহন্ত ও দুই বিধায়ক প্রদীপ হাজারিকা এবং আমিনুল ইসলাম।রাজ্য সরকারের কাছে তারা আর্জি রাখেন,ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হোক এবং নো ম্যানস ল্যান্ডের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হোক।উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন,'গত মঙ্গলবারে ঘটনাই প্রমাণ করছে যে সীমান্তের ওপারে নো ম্যানস ল্যান্ডে বসবাসকারী লোকেরা কতটা নিরাপত্তাহীন।করিমগঞ্জের ভারত-বাংলা সীমান্তের ওপারে কম করেও দুই-তিন হাজার লোক বসবাস করেন।এদের বাংলাদেশ থেকে এসে কেউ তুলে নিয়ে গেলেও কেউ কিচ্ছুটি বলতে পারবে না।তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বর্তমানে যে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে তা সরিয়ে জনপদকে কাঁটাতারের ভেতরে আনার ব্যবস্থা করা হোক।
তাছাড়া করিমগঞ্জ জেলার ভারত-বাংলা সীমান্তে উন্মুক্ত ৩.৫ কিলোমিটার সীমা শীঘ্রই সিল করা হোক।'....প্রফুল্ল মহন্ত বলেন,'সীমান্তের ওপারে যারা রয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করুক সরকার।এভাবে নিরাপত্তাহীন এলাকায় দেশের নাগরিকদের ফেলে রেখে দেওয়া যায় না।'...এআইইউডিএফ বিধায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন,
'কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় যে-সব নাগরিক বসবাস করছেন এদের ওপর যদি কেউ অত্যাচার করে তাহলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকার কি অসম পুলিশের রয়েছে?পুলিশ কিভাবে নিরাপত্তা দেবে এই নাগরিকদের?'...অগপ বিধায়ক প্রদীপ হাজারিকা বলেন,'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যে মোটেও আন্তরিক নয় তার প্রমাণ হল জাড়াপাতা ঘটনা।'....তারা কেউই কিন্তু ভুল কিছু বলেন নি।তারপর সরকারের তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয় যে,এ ক্ষেত্রে তারা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।তার ওপর কাঁটাতারের বেড়ার ও-পারের বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করার ব্যাপারেও চিন্তা করছে তারা।
বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারের কাছাড়,ধুবড়ি এবং আমাদের শহর করিমগঞ্জের গ্রামগুলোতে বসবাসকারী ভারতীয় পরিবারগুলোর জীবন ও সম্পত্তির যে কোনো নিরাপত্তা নেই,তা তারা(রাজ্য সরকার) ঠিকই বুঝতে পারছে।তাই তারা চাইছে, যদি তাদের(নো ম্যানস ল্যান্ডের বাসিন্দাদের) কাঁটাতারের ভেতরে আনা যায়।...অবশ্য এ এক ভালো চিন্তাধারা।কারণ সে-সব স্থানের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
তাছাড়া আমি নিজে সীমান্তপারের বাসিন্দা।আমরা প্রায়ই শুনে থাকি--
বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভারতে প্রবেশ করে গরু,ছাগল এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।আমরা জানি যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হল বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম সীমান্ত।বাংলাদেশের তিন দিকে ভারতের পাঁচ রাজ্যের রয়েছে সুদীর্ঘ সীমান্ত।অসমের সঙ্গে রয়েছে ২৬২ কিলোমিটার সীমান্ত,মিজোরামের সঙ্গে ৩১৮ কিলোমিটার সীমান্ত,
মেঘাময়েত সঙ্গে ৪৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত,ত্রিপুরার সঙ্গে এই দুই দেশের সীমান্ত ৮৫৬ কিলোমিটারের,আর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সেই সীমান্তের হিসেব ২,২১৬ কিলোমিটার। বার-বার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে যে এই সীমান্ত সিল করা হবে।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।সরকারের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে,কিছুকিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়।সে জায়গায় লাগানো হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে,ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২২৩.৭ কিলোমিটার জায়গায় কাঁটাতার লাগানো হয়েছে।তবে এখন পর্যন্ত নাকি ২২টি এলাকার ৪৮.৮ কিলোমিটার জায়গায় কোনো কাঁটাতার নেই।কাঁটাতার নেই ১১০ টি এলাকার ১১.৯ কিলোমিটার জায়গায়,আর ১২২ টি এলাকার ৬০.৭ কিলোমিটার জায়গায়।
আর এসবই আমাদের দুশ্চিন্তা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।তাছাড়া সে দিনের ঘটনার পর কর্তব্য পালনে বিএসএফের গাফিলতির কথাও প্রকাশ্যে আসে।তারা তাদের কর্তব্য ঠিকঠাকভাবে পালন করতে পারছে না বলেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে খুন,অপহরণ,ধর্ষণ এবং চুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।সত্যিই, সীমান্তরেখা বরাবর বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে সরকার,প্রশাসন এবং বিএসএফ কেন এত উদাসীন?তাদের এই উদাসীন মনোভাবের জন্যই সীমান্ত নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা দিনবাদিন বেড়েই চলেছে।আর এ যেন থামতেই চাইছে না।প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটনার খবর আমাদের কানে আসে।কিন্তু সে দিনের জাড়াপাতার ঘটনা যেন সবকিছুকেই ছাড়িয়ে যায়।নো-ম্যানস ল্যান্ড-র বাসিন্দাদের সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া কি আমাদের সরকার,বিএসএফ এবং প্রশাসনের কর্তব্য নয়?সত্যিকার অর্থে এখন ভেবে দেখার সময় হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন