লিখেছেন : অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বসু-দম্পতি ভেবে ভেবে অস্থির। কী করবে, কী করা উচিত ! উপায়ের পথ কে বাতলাবে ? হাজার হলেও পরের মেয়ে। পরকীয়া মোহে মেয়েটির বাবা-মা দুজনেই একজন পরপুরুষের হাত ধরে, অন্যজন পরস্ত্রীর হাত ধরে নতুন সংসার পেতেছেন, অন্যত্র। বিরল ঘটনা বটে, কিন্তু দুর্লভ নয়। সংবাদটি জানা গেল আকাশবাণীর রেনবো এফএমের “আজ রাতে” টক শো থেকে। জানা গেল মেয়েটির সব পরিচয়। বছর পনেরো মেয়েটির ডানে-বাঁয়ে কেউ নেই। আক্ষরিক অর্থেই অসহায়, নিঃসম্বল, নিরাশ্রয়। ফোন নম্বর পাওয়া গেল মেয়েটির। সময়
নষ্ট না-করে দ্রুত যোগাযোগ করা প্রয়োজন। যোগাযোগ তো করা যাই-ই, কিন্তু কী বলবে বসু-দম্পতি ! – হ্যালো, আমি কি ঝুমার সঙ্গে কথা বলছি ? – আপনি কে বলছেন ? – আমি, মানে আমাকে ঠিক চিনবে না মা। আমি নির্বাণ বসু। -- হ্যাঁ, আমি ঝুমাই বলছি। ঝুমা ভৌমিক। কিন্তু কাকু আপনি কেন আমাকে ফোন করেছেন সেটা তো জানতে পারলাম না। -- হ্যাঁ মানে কয়েকদিন আগে রেনবো এফএম থেকে তোমার বিষয়টা জানতে পেরেই তোমাকে ফোন করলাম মা। তুমি আমার বাড়িতে আসবে ? আমার মেয়ে হয়ে ? আমরা কর্তা-গিন্নি একা, সন্তানাদি নেই। চিকিৎসকরা বলছেন আমরা কোনোদিন সন্তানের বাবা-মা হতে পারব না। -- ওঃ, সরি। -- তুমি আমাদের মেয়ে হবে ? – আমাকে একটু ভাবতে সময় দেবেন কাকু ? – নিশ্চয়, কেন নয় ? সাতদিন সময় নিতে পারো।
------------------
সাতদিন পর এক সকালে মোবাইলে রিং বেজে উঠল। নির্বাণ মোবাইলটা রিসিভ করতে
গিয়েও হাত সরিয়ে নেয়, অজানা আশঙ্কায়। আবার
রিং রিং। কেটে যায়। আবার রিং রিং। মোবাইলটা রিসিভ করে এবং অপেক্ষা। বুকটা কাঁপছে, ভীষণ। -- হ্যালো ঝুমা বলছি, তোমার পদবিটা
আমায় দিতে পারবে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন