মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৪, ২০১৪

স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু তথ্য

                   লিখেছেন :  মনোবর
একটি সমীক্ষার ফল বলছে যে সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে ৬৫% ক্ষেত্রে দায়ী হচ্ছে আপনার ঘরের ভেতরে থাকা জীবাণু। ঘরের ভেতরে বলতে যে স্থলে আপনি দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন সেই স্থানকে বুঝতে হবে। এটা কারো ক্ষেত্রে তার অফিস বা কর্মস্থলের ঘরটিও হতে পারে। এছাড়া ডায়েরিয়ার ৫০% ক্ষেত্রে কারন ঐ একই অর্থাৎ ঘরের ভেতরে থাকা জীবাণু।
জানি এবার যে প্রশ্নটি স্বভাবিক ভাবে আসবে সেটা হল ঘরের ঠিক কোথায় এই ষড়যন্ত্রী জীবাণুগুলি অবস্থান করে। ভেবে যা বার করবেন তা কিন্তু সমীক্ষার ফলের সঙ্গে মিলবে না। কেউ কি ভাবতে পারে যে যেখানে সবচেয়ে বেশী জীবাণু থাকার কথা সেই টয়লেটের থেকেও সাধারণতঃ রান্নাঘরের মধ্যে প্রায় তার চেয়ে ২০০% বেশী জীবাণু বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে। হ্যাঁ, এজন্যই তো বললাম অনুমান মিলবে না।

এবার অবিশ্বাসের ভঙ্গীতে আপনারা জানতে চাইবেন রান্নাঘরের কোথায় এই শয়তানগুলো থাকে। কেন আপনার বাসন ধোয়ার স্পঞ্জটিতে। বা আপনি যদি কোন সিন্থেটিক ঘষক ব্যবহার করেন তবে সেটিতেই। সেটা কে আর বার বার জীবাণুনাশক দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে শুকিয়ে ব্যবহার করে বলুন?

পরবর্তী সম্ভাবনানয় স্থানটি হল আপনি তরকারি কাটেন যে চপিং বোর্ডের উপর সেটি। বড় বড় রেস্তোরায় খানা খাওয়ার সময় আপনি তো আর ঐ চপিং বোর্ডটির ব্যাপার খেয়াল করেন না। তারপর ডায়েরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে ভাবতে থাকেন আপনার হজম শক্তিটাই আসল শত্রু। পরবর্তী সম্ভাবনাময় ঘাঁটিগুলি হল জলের ট্যাপের হাতল, বেসিন এবং বেসিনের সিঙ্ক ড্রেইন, দরজার হাতল, টুথ ব্রাশ এবং রান্নাঘরের মেঝে কিংবা আপনার ডাইনিং টেবিলের উপরিতল।
ঘর জীবানুমুক্ত করার জন্য এবার ঝাঁপিয়ে পড়ে কিছু কাজ করুন এতে নিজেকে বেশ চনমনে লাগবে। আর হ্যাঁ, শীতকালের জন্য ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার ব্যাপারটি এখন তো সবারই জানা। কিন্তু এটা কি জানেন শোবার আগে ইষদুষ্ণ জল একগ্লাস পান করা প্রভূত উপকারী? 

কোন মন্তব্য নেই: