লিখেছেন : মনোবর
একজন এসে ধরেছে তাকে কবিতা লেখা শেখাতে হবে। আমি তাকে কোন কবির কাছে যেতে বললুম। সে নাছোড়বান্দা। বলছে সে কোন কবিকে চেনেনা। আমি ফেসবুকের মাধ্যমে কোন কবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলায় সে সবিনয়ে জানাল ফেসবুক জিনিসটা কি সে জানে না। তৎক্ষনাৎ আমি কেস টা টেকআপ করলুম। বললুম একটা নুতন খাতা আর কলম নিয়ে সন্ধ্যের পর আসতে। তা ছোকরা সত্যি সত্যি এসে হাজির।
একজন এসে ধরেছে তাকে কবিতা লেখা শেখাতে হবে। আমি তাকে কোন কবির কাছে যেতে বললুম। সে নাছোড়বান্দা। বলছে সে কোন কবিকে চেনেনা। আমি ফেসবুকের মাধ্যমে কোন কবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলায় সে সবিনয়ে জানাল ফেসবুক জিনিসটা কি সে জানে না। তৎক্ষনাৎ আমি কেস টা টেকআপ করলুম। বললুম একটা নুতন খাতা আর কলম নিয়ে সন্ধ্যের পর আসতে। তা ছোকরা সত্যি সত্যি এসে হাজির।
বললুম যা হোক
দুলাইন লিখে আমায় দেখাতে। তা বেশ চিন্তা ভাবনা করে সে লিখলঃ
তুমি ঐ নীল গগনের
তারা
তোমারে হেরিয়া
হইয়াছি দিশাহারা।
আমি বিরক্ত হয়ে
বললুম, গগনকে দুম করে নীল করতে গেলে কেন? আর চলিত এবং সাধুভাষা ঘাঁটাঘাঁটি করলে
কেন? সে মুচকি হেসে বললে, আজ্ঞে আপনি ঠিক করে দিন।
আমি গম্ভীর ভাবে
কিছু কবিতা বিষয়ক গুপ্ততথ্য তার কাছে উন্মোচিত করতে তখন একপ্রকার বাধ্য হলুম।
সেগুলো আপনাদেরও জেনে রাখা ভাল। প্রথমতঃ কবিতায় লেখার স্টাইলটা হবে পাজলিং স্টাইল
অথবা গ্রীকসোর্ড স্টাইল। গ্রীকসোর্ড যেমন সরল সেই ভাবে অথবা তুর্কীসোর্ড যেমন
বাঁকা সেভাবে কবিতা লেখা যেতে পারে। এখন উপরের কবিতাটি গ্রীক স্টাইলে হবে বা হওয়া
উচিত নিম্নরূপঃ
হে গগন তুমি যাকে
ধরেছ
বক্ষতে ছুঁয়েছ সে
আমার তারা
দিনে সে লুকিয়ে
থাকে তোমার উরুতে
রাতে আমি ভালবাসি
তাকে
জোর করে কাছে
টেনে নিতে।
অবশ্য এই স্টাইল
ছেলেদের জন্য। মেয়েরা লিখলে একটু অভিমানে চুবিয়ে লেখাই ভাল। যেমন ধরুনঃ
ওগো নিঠুর গগন কেন
তুমি
জড়িয়ে রেখেছ মোর
তারা
দাও ওগো ফিরিয়ে
আমাকে
নিশীথে কোরনা
স্বামীহারা।
এবার যাই তুর্কী
স্টাইলে। ছেলেরা ঐ স্টাইলে লিখলে কবিতাটি নিম্নরূপ কলেবর প্রাপ্ত হতে পারেঃ
গগনের জরায়ুকে
ছিন্নভিন্ন করে
যে আলোরা খুনীর
মত বলাৎকার
করেছে বালিকাটিকে
সব শীৎকার
সে গোপন রেখেছে
দাঁত চেপে
ফাঁসির দড়িতে
দুষ্ট আলো নিভে গেলে
প্রিয় তারাটিকে
সে উপহার দেবে
যাবতীয় একান্ত
উল্লাসধ্বনি
প্রতীক্ষা প্রহর
গোনে রাত।
ছোকরা এসব শুনে
বেজায় আলোড়িত হয়ে নতুন খাতাতে সব টুকে নিয়ে গেছে। দেখি কাল আবার কি প্রসব করে উদয়
হয়। ভালকথা! আমায় জিজ্ঞাসা করল যে আমি বাংলায় পি এইচ ডি কিনা। আমি বললুম সে যেন পি
এইচ ডি নামক সেকেলে ফিতে দিয়ে আমায় মাপতে চাইবার পুনরাবৃত্তি না করে। সেক্ষত্রে
তার কবিতার ক্লাসের দরজা চিরতরে শাট-ডাউন হয়ে যেতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন