লিখেছেন : অতন্দ্র অনিঃশেষ
পৃথিবী
লুটায়ে আমার চোখে
ঈশ্বর
কাঁদে বসে
স্বভাবে
দৈন্য হীন বর্মন
ধর্য্য
নাহি মেলে।
ধুলির
খেলা নির্বিশেষে
সৃষ্টির
যত উল্লাস
মনান্তরে
ঘটেছে সব
আঁধারে
আলোর দীপ্ত উদাস
চঞ্চল
ও হয় মন
স্বর্গলোকে
বসে ভাবে
কত পাপত্র জনম।
ফিরিয়া
চাহি দেখিয়া কাঁদি
যত নষ্ট মুখ
চোখের
জলে পায়না তবু
একটুখানি
সুখ।
ও আমার সুধা প্রাণ
করেছে
মরেছে
বসে তলে
ছিন্নভিন্ন
বজ্রঘাতে
লুটিয়ে
সে মরে।
যত ব্রক্ষ্মা সাধু সন্ন্যস
দিয়েছে আমারে
ধিক্কার
করিবো
প্রাণ বধ তাহাদের
এখানেই
হবে সৎকার।
পুতি,
টুপি, পাঞাবী নয়
সত্বা
হবে বাঙালী
ধ্বংস
করো শক্ত হাতে
বন্ধ হবে ভন্ডামী।
এ পথে কাঁটা ও
পথে বিষ
চৌধুরীর
মেয়ে রাজরাণী
পথের পাশে সন্তানগর্ভে
ধুকে মরছে ভিখারিণী।
পতিতার
ডাকে ছুটে চলা প্রাণ
পতিতা
আমার ধন
পতিতারে
পতিতা বলিল
হীনতা
তাহার মন।
যুদ্ধ
আমার চোখের পাতায়
যুদ্ধ
আমার মনে
বিবেকেরে
কাছে ছুঠে চলি
মনুষ্যত্বর
জাল বুনে।
কোরাণ
পড়ো, বাইবেল পড়ো
পড়ো গেীতম বুদ্ধ
পড়িতেই
হবে মনটা হবে
যবে আত্মা শুদ্ধ।
এ জাতি নয় সে
জাতি নয়
জাতি তোমার কি
জন্মেছি
এই ধুলিকণায়
হয়ে বাঙালী।
আকাশে
উড়ি বাতাসে উড়ি
বিচরণ
বিশ্বভ্রাতা
ক্ষিপ্তচোখে
সহজতর প্রাণ
জয় করিব প্রেতাত্মা।
তোমাদের
চোখে ঘৃণাভরা প্রাণ
শত ধিক্কান মোরে
লিখিব
আমি কিয়ামত
যবে এই ধরণী বয়ে।
দালাল
নই- দলিল হয়ে
থাকি মহাকাল বেয়ে
লাথি দিয়ে গেলাম মনে
রেখ
মহাশ্বর
হয়ে।
কবিতার
ভাষা নয়কো গোলামী
নয়কো কারো রঙানো চোখ
কবির চেয়ে মহাসত্য
হতে হবে কিয়ামত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন