লিখেছেন : শাহ মাইদুল ইসলাম
আমার চায়ের কাপ থেকে ছলকে ওঠে
বুয়েনেস আইরেস (স্বচ্ছ লিকার চা, যার দরুন
কাপের তলা অবধি দৃষ্টি যাচ্ছিল),
তারপর, ভোজবাজির মত মিলিয়ে যাওয়ার পূর্বে
দেখলাম পুরো আর্হেন্তিনা
দেখলাম অগাধ কোন লাতিন আমেরিকা
দেখলাম কমলা লেবুর ন্যায় দুই দিকে ঈষৎ চাপা
সমগ্র দুনিয়াটা(অন্তত আলেফ’কে যারা জানেন,
দেখলাম পাঁচ- পাঁচটা মহাদেশ ভর্তি গল্পের
অপরীমেয় কারখানা, এবং
গল্পের গোঁড়ায় জল সিঞ্চনরত সাতটা মহাসাগর
ও তার অযুত-নিযুত শাখা-প্রশাখা।
দেখলাম অতি প্রিয় বাংলার বাঘ, গোলাপ
আর ব্যবিলনে একটি আনকোরা দিনের সূচনা।
দেখলাম অসীম সংখ্যক গ্রন্থের উপস্থিতিতে
অসীম তাক ও অসীম কুঠুরীতে বিন্যস্ত এক
বোর্হেসীয় গ্রন্থাগার, এবং
তার প্রতিটি কুঠুরীতে অবস্থিত আলোক উৎসের
তলে
গভীর অধ্যয়নরত একজন বৃদ্ধের সোম্য মুর্তি;
হঠাৎ কোন এক অজানা আবিষ্কারে
তাঁর অট্টহাসিতে ভেঙ্গে ছত্রখান গ্রন্থাগারের
সহস্র- সহস্র- সহস্র বৎসরের
নিঃসঙ্গতার ধারনা।
আর তার সমূহ পরিনামে ছুটে গেল আমার হাতের
সিক্ত বিস্কুটের স্থৈর্য্য,- এবং ঝপাৎ....
ছলকে ওঠা চা ছড়িয়ে পড়ে কাপের চারপশে;
ততক্ষণে আমার জানা হয়ে গেছে দৃষ্টি
ও দ্রষ্টব্যের মাঝে সময়ের অসাধারন ছলনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন