কুয়াশা ঘন সরে
গিয়ে যখন
ভোরের কিরণ ছায়
আলুথালু কেশে সাধারণ
বেশে
তার মুখ দেখা যায়।
মনে হয় যে
মল্লিকার ’পর
এক বিন্দু
মুক্তো
স্বর্ণ চমকে জন্মে হয়েছে
ফুলের বুকে
যুক্ত।
সকাল বেলায়
স্নান সেরে যেই
কেশ বিন্যাস সারে
মনে হয় যেন গগনের
থেকে
সোনলী বৃষ্টি ঝরে।
অপরাহ্ণে
নিদ্রা সেরে যেই
গাত্রোত্থান
করে
মনে হয় যেন
আম্রকুঞ্জে
আম্র পত্র ঝরে।
গোধূলি লগণে
যখন কিনা সে
গাগরি কাঁখে চলে
সূর্যমুখিসম কবরী যেন
অধোমুখী হয়ে ঢলে।
এই তো গেল আমার
প্রিয়ার
রূপ রেখার বর্ণনা
ষড়ঋতুতেই চরিত্র
দৃঢ়
রোদ
জল যাই হোক না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন