শুক্রবার, জুলাই ১২, ২০১৩

বহ্নি থেকে বহ্নির ভিতরে --লিখেছেন অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়



আজন্ম লালিত সৌধ ভেঙে চুরমার
কোন্ দিকে নিয়ে যাবি তুই বহমান স্রোত
কত চালাকি দেখাবি নিগূঢ় অঙ্কে
কতদিন আগে তোর মনে আছে কি
পিঠে পিঠ রেখে তোর সঙ্গে জমিয়েছি ভাব
কত বর্ণাঢ্য ভঙ্গিমায়
ভুলেছিস সব কালে-অকালে বেলা-অবেলায় !


দহনে দহনে আমি মরি পাথর-যন্ত্রণায়
যেমন মরে মরে পাথর হয় সমুদ্র-প্রবাল
রক্তে এখন দারুণ শঙ্খ বাজে শঙ্কায় শঙ্কায়
আগুনের হলকা অহর্নিশি ছিঁড়ছে ফুল, পাতা
তোরই জন্য যা রক্ষিত ছিল, প্রজ্ঞা সময়
হায় পাখি, রাত্রি জুড়ে কী বিপজ্জনক
তোর ওড়াওড়ি রে !

আজন্ম লালিত সৌধ ভেঙে চুরমার
এইভাবেই ভেঙে যায় কত কী !
কোন্ দিকে নিয়ে যাবি তুই বহমান স্রোত
ছৌ-নাচ দেখাবি আমায় ?
দেখিস একদিন চলে যাব অনেক দূরে
যাব বহ্নি থেকে বহ্নির ভিতরে


মিঠে পান
এত উষ্ণতা কোথায় পেলে তুমি
কোথায় রেখেছিলে এত ভালোবাসা গচ্ছিত
প্রিয়তমা পাঞ্চালী, মাত্র তিনশো গ্রাম হৃৎপিণ্ডে
          কীভাবে রেখেছিলে এত হৃদয়তৃষ্ণা !

জ্বরজ্বর তপ্ত শরীরে অঢেল কৌতুক তোমার
দিতে কি পারবে সবটুকু, এই আমারে –
আমার পাঞ্চালী, পদ্মরাগ আঁখিলোরে কী দেখছ এত
কামাগ্নি নখরে ছিঁড়বে নাকি
                        একরত্তি উপস্থ,
পীত নাভিমূল, বাসনার বস্ত্র আমার।
কোথায় পেলে এত উষ্ণতা
                 রসবতী দেহে তোমার এত বিস্ময় !

নীল আলোয় ধৌত কামরাঙা তোমার মুখ দেখে
আমি যে আহ্লাদে মরে যাই
তুমি এলে হাজার সূর্যের বাতি জ্বলে আমার ঘরে
এই সময়, এই সময় আমার উপদ্রুত অঞ্চল—
খাবে কি মিঠে পান শব্দময়তায়।

আমি যে আহ্লাদে মরে যাই
ছুঁয়ে দিই তোমার বৃত্ত.....বৃত্ত.....বৃত্ত.....
     তারপর অগ্নিকাণ্ড এবং তারপর বিস্ফোরণ !


কোন মন্তব্য নেই: