'কেশপুর সিপিএম-এর শেষ পুর' - গোছের স্লোগানের সাথে বছর ১০-১২ আগে ঘনিষ্ঠ ভাবে পরিচিত ছিলেন বাংলার মানুষ । সেই কেশপুরেই ধরা পড়লো কিনা গণতন্ত্রের ফুটো !!!! তাও আবার চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরায় !!!!!
কেশপুরের
মহিষদার ১৪৬ নং বুথে, যেখানে ভোটার ভোট দেবেন, তার পিছনে
গণতন্ত্রের জানলা হাঁট করে খোলা । তাতে
নজর রেখে বসে আছেন শাসক দলের পোলিং এজেন্টরা । সঠিক চিহ্নে ভোট দান অথবা সুখ-শান্তি-জীবন দান ।
অতীত থেকে বর্তমান, বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের ফুটোর অধিকার কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে সংঘর্ষ চলবেই । ফুটোর না হোক গণতন্ত্রের মানে বোঝাতে, প্রথম দফা ভোটের দিন পুরুলিয়ায় সাঁতুড়ি গ্রামে ভোটারদের ঝোলা থেকে মদ বিতরণ করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন সিপিএম প্রার্থী চন্দ্রমোহন বাস্কে । পড়লেন পুলিশের জালে ।
এদিকে গনতান্ত্রিক অধিকারের প্রয়োগে 'মানবিক' ভাবে এগিয়ে এসে কেচ্ছায় ফাঁসলেন কাশড়ার তৃণমূল প্রার্থী জওহরলাল বাগদী । অন্যের ভোট নিজে দিতে গিয়ে ... তার মুখেই শোনা যাক - " আমি যখন ভোট দিচ্ছিলাম, তখন আমার পিছনে ছিলেন সীতারাম পাতর নামে এক ভোটার । বুঝতে পারছিলাম, নেশার ঘোরে তিনি ঠিক বুঝতে পারছেন না কি করণীয় তাঁর । তিনিই আমাকে ওঁর হয়ে ভোট দিতে বলেছিলেন ।"
আজ্ঞে না । তাঁকে পুলিস ধরতে চায়ও নি । গণতন্ত্রের ফুটো বর্তমানে তাঁদেরই হাতে সুতরাং .........
যাই হোক । প্রবল শান্তিতে পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহল সাড়া দিল । গণতন্ত্র সাগরে ডুবে জঙ্গলের রুখা-সুখা জমি উর্বরা হয়ে উঠুক ; সকল শুভবুদ্ধির মানুষ এই কামনাই করবেন ।
পুরুলিয়ার ধানচাটানি গ্রামের পিছনে জঙ্গল থেকে একদা মিলেছিল গোয়েন্দা পার্থ বিশ্বাস ও শিক্ষক সৌম্যজিৎ বসুর দেহ । মাওবাদীরা এঁদের খুন করে এখানে পুঁতে গেছিলেন বলে জানা যায় সরকারী প্রচারে । যাই হোক । সেই মাওবাদীরা এখন ভ্যানিশ । হাসিমুখে গণতান্ত্রিক পঞ্চায়েত যুদ্ধ চলছে । সেখানকার বাসিন্দা সনাতন পাহাড়িয়া, দুগাই পাহাড়িয়া, রবিদাস পাহাড়িয়া বলছেন - " খুব ভালো । বনপার্টির লোক তো এখন আর আসে না । এখন নেতারা এসে যে ছবিতে ভোট দিতে বলেন, সেখানেই দিই । ভোটের সময় পাঁচ কিলো করে চাল পাই । ভোট দিতে গেলেই চা আর চপ - মুড়ি - ছোলা । খুব ভালো ভোট পরব হচ্ছে । "
পঞ্চায়েত রাজ = গ্রামীণ জনতার ক্ষমতায়ন
এদিকে গণতান্ত্রিক ফুটোর ওপার থেকে কে যেন চোখ মেরে পালালো মাইরি ।
অতীত থেকে বর্তমান, বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের ফুটোর অধিকার কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে সংঘর্ষ চলবেই । ফুটোর না হোক গণতন্ত্রের মানে বোঝাতে, প্রথম দফা ভোটের দিন পুরুলিয়ায় সাঁতুড়ি গ্রামে ভোটারদের ঝোলা থেকে মদ বিতরণ করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন সিপিএম প্রার্থী চন্দ্রমোহন বাস্কে । পড়লেন পুলিশের জালে ।
এদিকে গনতান্ত্রিক অধিকারের প্রয়োগে 'মানবিক' ভাবে এগিয়ে এসে কেচ্ছায় ফাঁসলেন কাশড়ার তৃণমূল প্রার্থী জওহরলাল বাগদী । অন্যের ভোট নিজে দিতে গিয়ে ... তার মুখেই শোনা যাক - " আমি যখন ভোট দিচ্ছিলাম, তখন আমার পিছনে ছিলেন সীতারাম পাতর নামে এক ভোটার । বুঝতে পারছিলাম, নেশার ঘোরে তিনি ঠিক বুঝতে পারছেন না কি করণীয় তাঁর । তিনিই আমাকে ওঁর হয়ে ভোট দিতে বলেছিলেন ।"
আজ্ঞে না । তাঁকে পুলিস ধরতে চায়ও নি । গণতন্ত্রের ফুটো বর্তমানে তাঁদেরই হাতে সুতরাং .........
যাই হোক । প্রবল শান্তিতে পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহল সাড়া দিল । গণতন্ত্র সাগরে ডুবে জঙ্গলের রুখা-সুখা জমি উর্বরা হয়ে উঠুক ; সকল শুভবুদ্ধির মানুষ এই কামনাই করবেন ।
পুরুলিয়ার ধানচাটানি গ্রামের পিছনে জঙ্গল থেকে একদা মিলেছিল গোয়েন্দা পার্থ বিশ্বাস ও শিক্ষক সৌম্যজিৎ বসুর দেহ । মাওবাদীরা এঁদের খুন করে এখানে পুঁতে গেছিলেন বলে জানা যায় সরকারী প্রচারে । যাই হোক । সেই মাওবাদীরা এখন ভ্যানিশ । হাসিমুখে গণতান্ত্রিক পঞ্চায়েত যুদ্ধ চলছে । সেখানকার বাসিন্দা সনাতন পাহাড়িয়া, দুগাই পাহাড়িয়া, রবিদাস পাহাড়িয়া বলছেন - " খুব ভালো । বনপার্টির লোক তো এখন আর আসে না । এখন নেতারা এসে যে ছবিতে ভোট দিতে বলেন, সেখানেই দিই । ভোটের সময় পাঁচ কিলো করে চাল পাই । ভোট দিতে গেলেই চা আর চপ - মুড়ি - ছোলা । খুব ভালো ভোট পরব হচ্ছে । "
পঞ্চায়েত রাজ = গ্রামীণ জনতার ক্ষমতায়ন
এদিকে গণতান্ত্রিক ফুটোর ওপার থেকে কে যেন চোখ মেরে পালালো মাইরি ।
[তথ্যসূত্র - এই সময় , ১২-৭-১৩]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন