শনিবার, জুন ১৫, ২০১৩

ধার্মিকেরা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায় -- লিখেছেন : অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ধার্মিকেরা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। কারণ ধার্মিকেরা জানেন ধর্ম এবং ধর্মশাস্ত্র মিথ্যাচারের এনসাইক্লোপিডিয়া। যে আল্লাহকে প্রশ্ন করা যায় না সে তো অগণতান্ত্রিকে বিশ্বাসী। আমাদের তো গণতন্ত্রের উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আর আস্থা আছে বলেই আমাদের বাক্-স্বাধীনতা কেড়ে নেবার চেষ্টা করলে আমরা কতদিন আর সহিষ্ণু হয়ে থাকতে পারব। ধার্মিকদের একটা বলতে চাই : আপনারা আপনাদের বিশ্বাসের কথা বলুন। এটা আপনাদের অধিকার। আমরা আমাদের অবিশ্বাসের বলব। এটা আমাদের বিশ্বাস, আমাদের অধিকারআপনাদের বিশ্বাসে আঘাত দিলে যদি গুনাহ হয়, আমাদের বিশ্বাসে আঘাত দিলেও একই গুনাহ হয়। আপনারা ধার্মিক মানুষ হয়ে এই গুনাহ করবেন কেন !!!  একটা প্রশ্ন করব ? আল্লাহ যদি সর্বশক্তিমান হয় তাহলে ১৪০০ বছর পরেও দুনিয়ার ৮০০ কোটি মানুষকে মুসলমান করাতে পারল না কেন ? তাহলে তো সারা বিশ্বে কোনো ধর্মীয় সংকট থাকত না, তাই নয় কি ? প্রশ্ন সব ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এক মানুষ এক ধর্ম -- এই ব্যবস্থা যদি কোনো আল্লাহ কোনো ভগবান কোনো গড সৃষ্টি করতে পারে তাহলে আমি একজন বস্তুবাদী হয়ে বলছি দুনিয়ার ৮০০ কোটি মানুষের জন্য মাথাপিছু ১টি করে মোট ৮০০ কোটি উপাসনালয় গড়ে দেব। কে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে -- আল্লাহ ? ভগবান ? গড ? ধর্ম, আল্লাহ, ভগবান, গডকে পুঁজি কোরে যারা ব্যাবসা করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন, তাদের বলি সারাজীবন মানুষকে মূর্খ বানিয়ে রাখার মতলবটা ছাড়ুন পারেননি, পারবেন না
কে যেন বলেছিলেন, “তুমি যদি নাস্তিক হতে চাও বাইবেল পড়” আমি বলি কেবলমাত্র বাইবেল নয়, নাস্তিক হতে চাইলে কোরান, বেদ-উপনিষদ-মনুসংহিতা অবশ্যই পড়তে হবে এবং চক্ষুকর্ণবিবাদভঞ্জন করতে হবে। আমার নামটি দেখে সবাই হয়তো ভাবছেন আমি হিন্দু। আমি হিন্দু কি না, নাকি মুসলিম বা খ্রিস্টান সেটা এখানে আলোচ্য বিষয় নয়। আমার পরিচয় আমি একজন বস্তুবাদী নাস্তিক, ১০০%। যদি কোনো ব্যক্তি মনে করেন নাস্তিক হওয়াটা খুব সরল ব্যাপার, তাহলে জেনে রাখুন ভুল ভেবেছেন। যদি কোনো কারণে কারোর ঈশ্বর বা আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাস জন্মায়, তাহলে আপনাকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, বারবার পড়তে হবে। কী পড়বেন ? সব পড়ুন – কোরান, বেদ, উপনিষদ, মনুসংহিতা, বাইবেল, জেন্দ-আবেস্তা, ইলিয়াড এবং ওডিসি, গিলগামেস ইত্যাদি।

কোন মন্তব্য নেই: