শনিবার, নভেম্বর ০৯, ২০১৩

ভারতের আর্টফিল্ম : তথাকথিত সাহিত্য মূলত যৌন কল্পতার বহিঃপ্রকাশ

         লিখেছেন : অতন্দ্র অনিঃশেষ
গাণ্ডু সিনেমার (রি এবং অনুব্রত)একটি বিতর্কিত দৃশ্যের প্রাক-অংশ
ভারতের (কলকাতা) আর্টফিল্ম মোটেও সাহিত্য ধারার কোন চলচিত্রের মধ্য পড়ে না। হাতে গোনা দু’একটা ছবি ভালো । প্রতিটি ছবির বিষয়বস্তু থাকে যৌনতা নিয়ে।আর যার ফলাফল বাস্তব জীবনে প্রয়োগের লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। গান্ডু সিনেমায় পরিচালক কি বাণী দিতে চেয়েছেন তা বোধ হয় নিজেও জানেন না অথবা সত্য হলেও কি এ রকম প্রকাশ স্বাভাবিকতায় কতটা সিদ্ধ ? এ রকম অনেক সিনেমা আছে যার মৌলিক বিষয় যৌনতা। অনেক সময় তরুণ অর্থাৎ আমাদের এই বয়সি যারা তারা সিনেমাকে মডেল রোল হিসাবে ধরে নেই। পরকিয়া সমস্যা না সমাধান বোঝা মুসকিল। নাকি উপলব্ধির মাত্রা বাড়িয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়ার
প্রবণতা। দেহ কল্পনায় , সাহিত্য আর চিত্রকলায় সিদ্ধ কিন্তু বাস্তবতায় বৈধতার আড়ালের গল্পগুলো অশুদ্ধ। বাস্তবতার দোহাই দিয়ে যৌনতা দেখানো এমনকি সেই দৃশ্যগুলোও দেখানো কতটা যুক্তিক প্রশ্ন পরিচালকদের কাছে। আমরা যে পর্নগুলো দেখতে পাই তা নিতান্তই গোপনীয় । তবে অন্য দেশের সাথে বাঙালীদের তুলনা কতটাই বা যায়। যে দেশে মেয়েরা শুধু কাঁচুলি আর ছোট প্যান্ট পড়ে ক্লাসে আসে সে দেশের সাথে কি আমাদের তুলনা চলে। আমাদের একটি সু প্রতিষ্ঠিত জাতি স্বত্বা আছে সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আসুন পথের প্যাঁচালীর মত ছবি তৈরী করি হয়ত বিভূতিভূষণ নেই হয়ত সত্যজিৎ নেই তবে চেষ্টা করলে আমরাও পারি।

কোন মন্তব্য নেই: