লিখেছেন : মানস রায়
কিছুকাল আগে একটা খবর পড়ে বেশ মজাই পেলাম৷ সিপিআইএম -এর সদস্য -কর্মীদের এখন থেকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে পুরোদস্ত্তর অংশ নিতে আর বাধা নেই৷ পুজো -আর্চায় , হজযাত্রায় , পৈতে বা দীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা রইল না , ধর্ম থেকে পার্টি এমবার্গো তুলে নিয়েছে৷
পল্টু স্যারের কথা মনে পড়ে গেল৷ ঠিক দশটা -দশ না হলেও দশটা পাঁচ হয়ে মাথাটা ঘাড়ের দিকে বাঁকা৷
পরনের ধুতি বুক অবধি জড়ানো , লক্ষ্মীপুজো বা সরস্বতী পুজোর দিন পল্টু স্যার তার ন্যুব্জ সাইকেলে পাড়ার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে , এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি যাচ্ছেন৷ যাচ্ছেন ও ত্রস্ত চোখে এ দিক ও দিক তাকাচ্ছেন৷ আর কিছুটা মুদ্রাদোষে বলতে পারেন , বাঁকানো মাথাটা আরও বাঁকিয়ে কাঁধে ছুঁয়ে নিচ্ছেন৷ সব মিলিয়ে কেমন যেন একটা অস্বস্তি , অসহায়তার ছবি৷ আসলে পল্টু স্যার পাড়ায় যে সব সৎ , নিষ্ঠাবান কমিউনিস্ট কর্মী ছিলেন তাদের একজন৷ গত শতাব্দীর ছয় বা সাতের দশকে স্কুলের তলানি মাইনেতে ভাই -বোনে বিস্তৃত
উদ্বাস্ত্ত সংসার চালানো দায়৷ তাই স্কুল ফেরতা সাইকেলে চেপে তিনি টিউশনে বেরোতেন৷ আর পুজো -আর্চার দিনে কিছু খুচরো বাড়তি রোজগার৷ বাকি সময়টা পার্টি অফিসে৷ হায় , আজ বেঁচে থাকলে পল্টু স্যারের অস্বস্তির আর কোনও কারণ থাকত না , এক রকম বুক ফুলিয়েই যজমানি করতে পারতেন৷কিছুকাল আগে একটা খবর পড়ে বেশ মজাই পেলাম৷ সিপিআইএম -এর সদস্য -কর্মীদের এখন থেকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে পুরোদস্ত্তর অংশ নিতে আর বাধা নেই৷ পুজো -আর্চায় , হজযাত্রায় , পৈতে বা দীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা রইল না , ধর্ম থেকে পার্টি এমবার্গো তুলে নিয়েছে৷
পল্টু স্যারের কথা মনে পড়ে গেল৷ ঠিক দশটা -দশ না হলেও দশটা পাঁচ হয়ে মাথাটা ঘাড়ের দিকে বাঁকা৷
পরনের ধুতি বুক অবধি জড়ানো , লক্ষ্মীপুজো বা সরস্বতী পুজোর দিন পল্টু স্যার তার ন্যুব্জ সাইকেলে পাড়ার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে , এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি যাচ্ছেন৷ যাচ্ছেন ও ত্রস্ত চোখে এ দিক ও দিক তাকাচ্ছেন৷ আর কিছুটা মুদ্রাদোষে বলতে পারেন , বাঁকানো মাথাটা আরও বাঁকিয়ে কাঁধে ছুঁয়ে নিচ্ছেন৷ সব মিলিয়ে কেমন যেন একটা অস্বস্তি , অসহায়তার ছবি৷ আসলে পল্টু স্যার পাড়ায় যে সব সৎ , নিষ্ঠাবান কমিউনিস্ট কর্মী ছিলেন তাদের একজন৷ গত শতাব্দীর ছয় বা সাতের দশকে স্কুলের তলানি মাইনেতে ভাই -বোনে বিস্তৃত
তবু ছবিটা মেনে নিতে মনের ভেতরে কেমন যেন কাঁটা -কাঁটা লাগছে৷ আর তা যে লাগছে তা অনেকটাই একদিকে গোঁড়া সেকুলারিস্ট ও অন্য দিকে অভিসন্ধিত্সু ধর্মীয় পার্টির জাহিরির ফল৷ ধর্মের সঙ্গে সেকুলারিজমের সম্পর্ক সত্যিই আদায় -কাঁচকলায় ? বরং ধর্মের পথ খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তে কি বলা যায় না যে সিপিআইএম এ বার ঠিকঠাক একটা সেকুলার পার্টি হয়ে উঠল ?ধর্ম ব্যক্তির একান্ত ব্যক্তিগত , খাসকামরার ব্যাপার ; রাজনৈতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিসরে এর কোনও স্থান নেই : এ সেকুলারিজমের এক গুরুত্বপূর্ণ রেটরিক আর এই রেটরিকের কৃত্কৌশলে আধুনিক সেকুলার রাষ্ট্র জীবনের সার্বিকতাকে ‘পলিটিকাল ’ ও ‘রিলিজিয়াস ’ এই দুই খোপে বিভাজিত করতে চায়৷ বিভাজন করা যাবে এই অমূলক আশার তাড়নায় নয় , বরং বিভাজনের চেষ্টার মধ্যে দিয়ে ধর্মের উপর এক বিশেষ সংজ্ঞা আরোপ করা এবং ধর্মকে সেকুলার নাগরিকত্বের দীক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা , এই অভিপ্রায়ে৷ সেকুলারিজম ধর্মকে ব্যক্তির বিশ্বাসের অন্তঃপুরে আটকে রাখে না৷ আর রাখবেই বা কেন ? নাগরিকের মন তৈরি করতে --- তার আচার -ব্যবহার , ভালো -মন্দবোধ , ন্যায় -অন্যায় বিচার , তার প্রবৃত্তি , পারভার্সন --- এ সব কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং যতদূর সম্ভব একটা মোড়কে আনতে চাই মানুষের মনের অন্দরমহলে রাষ্ট্রের যাতায়াত৷ এর জন্য ধর্ম থেকে ফলপ্রসূ কী হতে পারে ? তবে ধর্মের বৈরি -বেয়াদপিপনা নয় , ঠিকঠাক ডিসিপ্লিনড্-ধর্ম৷ সেকুলার রাষ্ট্রে ধর্ম প্রসাশনের কৃষ্ণ-রাধে , ধর্মের হাত ধরেই প্রশাসনের কার্যসিদ্ধি৷ সে অর্থে সেকুলারিজম মূলত একটি প্রশাসনিক প্রকল্প৷ সেকুলার বিষয়ী নির্মাণ আসলে রাষ্ট্রের বিচারে ঠিকঠাক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তি নির্মাণ৷
সেকুলারিজম শূন্যে ঝুলে থাকা কোনও উল্লম্ব প্রস্তাব নয় , এর ভিত্তিভূমি নেশন -স্টেট৷ এক ধাপ এগিয়ে বলা যাক , সেকুলারিজম আসলে নেশন -স্টেটের সম্পত্তি৷ আর যেহেতু নেশন -স্টেটের মূল অ্যাজেন্ডা ঠিক ছকে নাগরিক তৈরি , তাই সেকুলারিজম আদতে রাষ্ট্রের প্রশাসনের কারবারি৷ কিন্ত্ত ধর্মের জোগানদারী ছাড়া প্রকল্পটি নিষ্ফলা৷ চাই সেই সব ধর্মীয় ন্যারেটিভ , সেই সব মিথ্যের সেই সব ব্যাখ্যা যা মানুষকে কর্মযোগী করে তুলবে , যে রাষ্ট্রের প্রয়োজনের প্রতি নিষ্ঠাবান হবে , রাষ্ট্রের জন্য আত্মত্যাগে প্রস্ত্তত থাকবে , এমনকী রাষ্ট্রের খাতিরে এমনিতে শান্ত ছেলেটি বন্দুক তুলে নিতে পিছুপা হবে না৷
প্রশ্ন ওঠে , সেকুলারিজমের না হয় রাষ্ট্রীয় নোঙর দরকার , নানা রাজনৈতিক চুক্কি -তাপ্পির গল্প থেকে ধরা যাক সেকুলারিজমকে আলাদা করা যাবে না , কিন্ত্ত তাই বলে সেকুলার ব্যক্তিত্ব , সেকুলার চৈতন্যে ক্ষতিটা কোথায় ? ক্ষতি কিছুই নেই , বরং সেকুলার মনন বলতে যে সব গুণ বোঝানো হয় --- অর্থাত্ ধর্মীয় যজমানির বাইরে যুক্তিনিষ্ঠ ভালো -মন্দ বোধ , বাকস্বাধীনতা , সহিষ্ণুতা, স্বাতন্ত্রে্যর মর্যাদা --- এ সবই চরিত্রের অত্যন্ত আকর্ষণীয় , লোভনীয় উপাদান৷ গণ্ডগোল হচ্ছে , সেকুলার চরিত্রকে সেকুলারিজমের রাষ্ট্রীয় অ্যাজেন্ডার বাইরে রাখা একটা মাত্রার পর সম্ভব নয়৷ সেকুলার মনন যদি এক কথায় হয় সর্বজনীন যুক্তির ভিত্তিতে ঔচিত্যবোধ , তবে তাকে ক্ষমতার নাগালের বাইরে ভাবলে চলবে না৷ আধুনিকতার ইতিহাস , ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস এই ঔচিত্যবোধকে একটা ভূগোল দিয়েছে : পশ্চিম , পাশ্চাত্য৷ আধুনিকতার প্রাণভোমরা এই ঔচিত্যবোধ৷ আর এর পবিত্রতা রক্ষায় সেকুলার রাষ্ট্র হিংসার পথ নিতে কুণ্ঠিত নয়৷ সেকুলার মনন একটা সাংস্কৃতিক পুঁজি , যে সেকুলার সহিষ্ণুতার কথা আমরা বলি , তা একটা প্রিভিলেজেরও পরিচয়৷ আমজনতা যারা শহর জুড়ে অথচ অধিকারের ক্ষেত্র থেকে অপসৃত, তাদের কাছে শিক্ষিত , ভদ্র , সেকুলার মানুষটি একই সঙ্গে সম্মানার্হ ও আক্রমণের নিশানা৷
চার্লস টেলর তার সাম্প্রতিক প্রামাণ্য বই ‘আ সেকুলার এজ ’-এ বলেছেন , সেকুলার যুগের একটি প্রধান লক্ষণ , এই প্রথম ধর্মে বিশ্বাস করাটা মানুষের পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার হয়ে উঠেছে৷ যদি কারও মনে হয় , ঐহিক সুখই সব নয় , যদি কারও কাছে জীবনের অর্থের সঙ্গে অতীন্দ্রিয়তার খোঁজ মিলে যায় তা হলে সে ধার্মিক হওয়ার পথ বেছে নেবে , অন্যথায় নয়৷ টেলর সাহেবের বিচারে ভারতবর্ষ সেকুলার দেশ নয় , কারণ এখানে ধর্ম চয়েসের ব্যাপার নয়৷ বরং এ দেশে বেশির ভাগ মানুষের জন্য যে ধর্মে তারা জন্মেছেন , সেই ধর্মই তাদের নিয়তি৷ এ বক্তব্য বলা বাহুল্য তর্কের অতীত নয়৷ মহামতি টেলর যে কথা ভাবতে চাননি তা হচ্ছে লিবারল সেকুলার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গঠনেই আছে ঐশ্বরীকতার আদল , যাকে বলা যায় পলিটিকাল থিওলজি বা রাজনৈতিক ধর্মীয়তন্ত্র৷ থিওলজিকাল রাষ্ট্রে ঈশ্বরের যে অবস্থান , যা তার জ্যামিতি , তাত্পর্য, সেকুলার গণতন্ত্রে তা সব কেন্দ্রীভূত ‘জনগণ ’ নামক একটা রসায়নে৷ জনগণ ইনফিনিটির আধুনিক এক নির্ভেজাল উদাহরণ , সমষ্টি ও এককতার এক বিস্ময়কর , বেখাপ্পা কিন্ত্ত অত্যন্ত কার্যকারী গোলকধাঁধা৷ রাষ্ট্র একে ভয় পায় , ঘুষ দেয় , এর নামে ফাটকা খেলে , এর কাঁধে বসে মানুষের নিরাপত্তার নামে মানুষকে চাবুক মারে৷ মানুষ এই জনগণের জন্ম দেয়নি , রাষ্ট্র --- বা আরও সঠিক অর্থে সংবিধান --- জনগণের জন্মদাতা৷ ‘উই , দ্য পিপল অফ ফ্রান্স ...’ বা ‘উই , দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া ...’--- এই শপথস্তোত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়েই জনগণের উত্পাদন৷ একক ও সমষ্টি --- জনগণের এই দুই অক্ষকে এক জায়গায় ধরে রাখার জন্য আধুনিক রাষ্ট্রের প্রয়োজন আইনতন্ত্র৷ সেকুলারিজম সর্বজনীন যুক্তির জাহিরি দেয় , কিন্ত্ত আইন যদি সব সময় যুক্তির বশংবদ হয়ে থাকত তা হলে তো ‘ল অ্যান্ড অর্ডার ’ বস্ত্তটির কি একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকত ? সেকুলার রাষ্ট্র ব্যবস্থার সবচেয়ে স্পষ্ট থিওলোজিকাল নির্দেশ রয়েছে আইনের আইনি ব্যতিক্রমে , যা বেআইনি মোটেই নয় , বরং আইন করে আইনের ছুটি৷ যেমন ইন্দিরা -জমানায় এমারজেন্সি৷ আইনের এই ব্যতিক্রমী প্রয়োগকে যদি বুঝতে হবে রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে , তা হলে জরুরি অবস্থা এমন একটা ঘোট যার বিশেষ আইনি ব্যবস্থাটা বোঝার আইনি ভাষা বা রূপ থাকতে পারে না৷
সেকুলার রাষ্ট্রের রাজনৈতিক -প্রশাসনিক অবস্থান এ ক্ষেত্রে ঐশ্বরীয় বিধিতুল্য৷ সেকুলারিজমের দুই বিশিষ্ট দার্শনিক রুশো ও কান্ট৷ রুশো বলেছেন আইনকে কার্যকারী হতে গেলে , তাকে হতে হবে দিব্যপম বা quasi-divine৷ আর কান্ট বলেছেন , আইনের পেছনে যা আইন , যা আইনের চালকশক্তি , তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না৷ তার ভাষায় , ‘হাইয়েস্ট ফ্ললেস ল -গিভার ’৷ যুক্তির সম্পূর্ণতা বা সমগ্রতা ও নির্ভেজাল সেকুলারিজম একই সঙ্গে বোধ করি সম্ভব নয়৷ তা হলে কি সেকুলার রাষ্ট্র আর থিওলজিক্যাল রাষ্ট্রের মধ্যে কোনও ফারাকই নেই ? না , ফারাক বিস্তর৷ সেকুলার সার্বভৌমের স্বয়ংভব প্রভুত্ব ও উত্কৃষ্টতা নির্ভর করবে ভিন্ন ভিন্ন বিষম নানা ক্ষমতাক্ষেত্র বা চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্তি ও আত্তিকরণের উপর৷ এ জন্য আধুনিক সেকুলার রাষ্ট্র থিওলজিক্যাল রাষ্ট্রের নির্মাণকাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও তা থেকে সে বিসদৃশই থেকে যাবে৷ আমাদের দেশ হিন্দুত্ববাদী সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় নীতিগত ভাবে সেকুলার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয় , কারণ রাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সমসত্ত্ব নাগরিকত্ব চাপিয়ে দেওয়া যাবে সেকুলারিজমের যুক্তি দেখিয়েই৷ অন্য দিকে কট্টর মুসলমান সম্প্রদায় ‘সংখ্যালঘু’ অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে প্রায় পঁচিশ কোটি জনগোষ্ঠীকে সমসত্ত্ব ইসলামি কৌমে পরিণত করতে সচেষ্ট৷
সেকুলার রাষ্ট্রের পবিত্রতার পাদপিঠ হচ্ছে ‘নেশন ’৷ এবং এর সূত্র ধরে রাষ্ট্রীয় ভৌগলিকতা৷ কিন্ত্ত পবিত্রতা বা সেক্রেডের আর একটা অর্থ আছে , যেখানে সে ধর্মের অংশ তো নয়ই বরং ধর্মের সঙ্গে যার সম্পর্ক বৈপরীত্যের ৷
ধর্ম বলতে এখানে আচার , বিধান , যোগসূত্র ও সমষ্টিকতা বোঝাচ্ছি৷ পবিত্রতা এ ক্ষেত্রে হচ্ছে যা সাংসারিক কার্যকরণে সম্পর্কহীন এক একক সম্পর্ক৷
সৃষ্টির এই নিভৃত অন্তর্দর্শনের মোহেই না যুগে যুগে কত মানুষ পাহাড় -পর্বতে ঘুরে বেড়ান৷ আবার এই সব সাধককে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে আবার নানান আশ্রম , মন্দির৷ সেই সমষ্টি , সেই ধর্ম৷ এ তো গেল পাহাড় পর্বতের গল্প৷ এই কোথায় -পাব -তারে মানুষগুলো কি আমাদের চারপাশে , রোজকার জীবনে একেবারেই অপ্রতুল ? আমরা দশটা -পাঁচটার মানুষরাও কি সময় সময় ওই এক ঝলক দর্শনের জন্য , ওই মোহময় নৈঃশব্দ্যের জন্য আকুল হয়ে উঠি না ?
সৌজন্যে : এই সময়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন