লিখেছেন : অতন্দ্র অনিঃশেষ
প্রতিটি
মানুষের স্বাধীনতা আছে কথা বলার। স্বাধীন
দেশে কথা বলতে কারো
অনুমতির বা তোষামোদের প্রয়োজন
নেই। মাওলানা
শফি যেমন ধর্ম প্রসঙ্গে
কথা বলতে পারেন , তসলিমাও
ধর্ম নিয়ে কথা বলতে
পারেন কারো অনুভূতিতে যদি
আঘাত হানে এবং সে
যদি বিচক্ষণ হয় তবে অবশ্যই
যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন।
কাউকে
অত্যাচার করে কখনও শান্তি
প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ইসলাম
শান্তির ধর্ম। নবী
(সঃ) বলেছেন , তোমরা ধর্ম নিয়ে
বাড়াবাড়ি করো না।
যার যার ধর্ম তার
তার কাছে। কেউ
ধর্ম নিয়ে কথা বল্লেই
তাকে হত্যা করা হবে
এমন মুর্খের শির্ক্ষা কোন ধর্মই দেয়নি। শাপলা
চত্বরে যে অন্যায় করা
হয়েছিল পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম বিশৃংখলা কাজ
সেই রাতে করেছিল হেফাজতে
ইসলামের এই নেতার বাহিনী। অশান্তি
সৃষ্টির দায়ে কেউ জাহান্নামে
গেলে এই মূর্খ আগে
যাবে। যে
লোক এক মুখে মেয়েদের
তেঁতুল বানায় আরেক মুখে ফুল
তার দ্বারা সবই সম্ভব। আমি
মানলাম তসলিমা নারীদের নিয়ে
একটু বেশিই বলেছেন।
এই ধর্মান্ধ দেশে ধর্মকে পুঁজি
করে যারা ব্যবসা করছে
তাদের দেশান্তর করা আগে দরকার। তসলিমার
মুখের বাণী আপনাদের খারাপ
লাগে কিন্তু সেগুলো যখন
বাস্তবে প্রতিফলিত হয় আপনারা তার
জবাব দিতে পারেন না
কেন। সোজাসুজি
একটা হিসাব দিই।
আল্লাহ ব্যাভিচারকে হারাম করেছেন এবং
ব্যাভিচারের শাস্তি দুনিয়াতেই দেওয়ার
কথা বলেছেন। এ
দেশে নামি দামি হোটেলগুলোতে
প্রতিরাতে ব্যাভিচারের কারখানা বসে। মদের
বারগুলোতে আড্ডা জমে কোটিপতির
বাচ্ছাদের । তখন
আপনারা দালালি করেন।
আমরা ধর্ম নিয়ে দুই
কলম লিখলে আমরা হয়ে
যাই নাস্তিক আর আমাদের হত্যা
করে আপনারা গাজী হয়ে
যান। তসলিমা
আবার আসবে এই বাংলায়
যদি সত্যি হয়ে থাকে
হে স্বাধীনতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন