বুধবার, অক্টোবর ২৩, ২০১৩

পারমিতা : সেই কৃষ্ণকলি

লিখেছেন : জয়া চক্রবর্তী
সবচেয়ে বড় কথা হল ,আমি হতে চেয়েছিলাম রুমাল ,
হয়ে গেলাম মস্ত ল্যাজওয়ালা এক বেড়াল ,
হাসছ বুঝি?
তাতে আপত্তি নেই ,

আমার প্রেমিকের দেওয়া দাগ ধরেছে সারা গায়ে ,
অথচ এই প্রেম টা আমি করতে চাই নি ,
আমি চাঁদ খুলে ফেলেছি শরীর থেকে ,
জানি এখন আমি অন্ধকার ,

কবে শেষ হজমি -আচার চুরি করেছিলাম মনে নেই ,
শুধু মনে আছে মা খুব মেরেছিল ,
মেয়ে মানুষের আবার শখ আহ্লাধ?
তবু জীব লক লক করেছে ।
প্রথমে খাবার দেখে ,পরে পুরুষ শরীর দেখে ,
লুকিয়ে গোপন সিঁড়ি ঘরে প্রেম করেছি বহুবার ,
মাস্তুতু ভাইএর সাথে ।


টেলিফোনে কথা বললে মার অসহিস্নু গঞ্জনা ,
বড়দের কথায় আড়ি পাতলে কালশিটে দাগ করে দেওয়া মার ।

প্রেমিক আমায় লবঞ্চুশের লোভ দেখায় ,
এই সামান্য আদরটিকে আমি ভাবলাম প্রেম ।
আগুন ছড়িয়ে দিলাম তার বুকে ।

ভেবেছিলাম ,feminist হব ,
হয়ে গেলাম প্রেমিকা ,
ভয় হয় ,যদি গতে বাধা রুটিনে ধরা পরে যাই?
সেখান থেকেও পালাব ,

ইচ্ছেমত বাঁচবো ,মুহুর্মুহু ,
নারীবাদের থেকে এতাও বা কি কম প্রতিবাদ হল?

কোন মন্তব্য নেই: