অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগ হয়ে পৃথক তেলেঙ্গনা রাজ্য গঠনের খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অন্যান্য জায়গাতেও বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে
আরম্ভ করেছে। সেটা স্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গেও তার অন্যথা
হয়নি।
দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৮৮তে সুবাস ঘিসিং-এর নেতৃত্বে
গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট সমর্থ হয়েছিল দার্জিলিং গোর্খা হিল
কাউন্সিল নামে একটি স্বশাসত পরিষদ গঠন করতে। কিন্তু পরিষদ গোর্খা জনগণের স্বপ্নপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সুবাস ঘিসিংকে সরে যেতে হয়। এর পর আবার নতুন করে
আন্দোলন আরম্ভ হয়। এক পর্বে এসে নেতা হয়ে বসেন বিমল গুরুং। তাঁর নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ২০১১-এ রাজ্যের নতুন সরকারের কাছ থেকে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নামে আধা-সরকারি প্রশাসনিক
ব্যবস্থা আদায় করতে সমর্থ হয়। এখন পৃথক তেলেঙ্গনা রাজ্য গঠনের খবরে আলাদা রাজ্য গোর্খাল্যন্ডের দাবি যে উঠবে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই!
কিন্তু সমস্যা হল, সম্প্রতি ফেসবুক-এ বাংলা ভাগ হতে দেব না, বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত রুখছি, রুখব... প্রভৃতি বিপ্লববাদের বুলি চোখে পড়ছে। আমার প্রশ্ন হল— ওই সব বঙ্গ-বিপ্লবীরা ভারতের বিভিন্ন রাজগুলি কী ভাবে গঠিত হয়েছে, ভারতের জাতিগত ঐক্যের ভিত্তি কী এসব তথ্য জানেন কি ?
পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে গোর্খাল্যান্ড হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ! রাজ্যবাসী হিসেবে আমরা আমাদের মতটুকু ব্যক্ত করতে পারি মাত্র, বিপ্লব নয় ! বিপ্লব যদি করতেই হয়, অনুরোধ, দার্জিলিঙে গিয়ে করুন, এখানে বসে রাজা-উজির মেরে কোনও লাভ নেই !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন