তুমি সাধুসন্ত
হয়ে বেশ্যার কুটীরে রাত কাটাও কেন? মাতব্বরেরা আস্ফালন করেন। কি করে জানলে গো তোমরা? সন্ন্যাসী
ধীরকন্ঠে বলেন। আমরা সক্কলে জানি। কেমল করে জানি, তোমাকে বলব
কেন? মাতব্বরেরা একসুরে বলেন। তা বোলো না; কিন্তু ভালমানুষের মেয়ের নামে বাজে কথা কও কেন?
বাজে কথা রাখো সন্নেসী ঠাকুর। গর্জন করে ওঠেন বেণী চক্কোত্তি। ঐ মেয়েছেলের ঘরে তোমার থাকা চলবে নি। তাহলে কার ঘরে থাকব বলে দাও! তোমাদের অন্য কোন মেয়ের খবর জানা আছে কি? সন্ন্যাসী হেসেই বলে। কেন, তুমি শিব মন্দিরে আশ্রয় নাও! মাধব ঘোষাল চটজলদি উত্তর দেয়। হুম! সেটা মন্দ বল নি গো; যাই তাহলে গিয়ে রূপমালাকে বলি সব গুছিয়ে মন্দিরে চলে আসতে।
ফাজলামো করো নাকি সন্ন্যাসী ঠাকুর! ডাইন উঠবে শিব মন্দিরে? সকলে হামলে ওঠে। সব্বোনাশ! তোমাদের সাথে ফাজলামো করি, এমন শক্তি কই আমার? আমি ভাবি, বাবার মন্দিরে তো ডাকিনীরই স্বাভাবিক আশ্রয়। তা যাকগে; তোমাদের যখন এতো আপত্তি, রূপমালাকে নিয়ে আমি চলে যাচ্ছি অন্য কোনখানে, তোমাদের নজরের আড়ালে।
রূপমালা বসেই ছিল; সন্নেসীঠাকুর এখনো ফেরে না কেন! হঠাৎই গনা হালদার চুপিচুপি দাওয়ায় উঠে ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,- ওরে রূপী, আজ কতকাল পরে তোরে একটুখানি দেখবোরে! এতকাল সবাই যে কত বুভুক্ষু হয়ে বসেছিল টের পাওয়া গেল প্রায় সারারাত ধরে একের পর এক লাইন লাগানোয়। রূপমালা প্রায় অচৈতন্য; বোধ নেই কি হয়ে চলেছে।
সব খারাপ রাতেরও একটা শেষ আছে; তাই ভোর হয়। রূপমালা কোমর ঘষটে ঘষটে চলে পুকুরের দিকে। হঠাৎই একটা কুকুরের মুখে ওটা কি দেখতে পাওয়া যায়! হাতের ঐ আঁচিল যে বড় চেনা। রূপমালা কন্যে, যেদিন কেউ থাকবে না চোখের সাক্ষাতে, এই আঁচিলই জানিয়ে দেবে মুখ। সন্নেসিঠাকুর! রূপমালা আর্তনাদ করে ওঠে।
ডাইনদের অনেক ক্ষমতার কথা শুনতে পাওয়া যায়। রূপমালাও জানে; বিশ্বাসও করে হয়তো। তবু সে কোন ঝড় ডেকে আনতে পারে না, বইয়ে দিতে পারে না কোন আগুনের স্রোত। রূপমালা কিইবা পারে! তাই সে সন্ন্যাসীর সেই কাটাহাত বুকে আগলে নিশ্চিন্তে পাড়ি দেয় পুকুরের জলে। আশপাশের কেউ টেরও পায় না, পৃথিবীর শেষতমা অতিপ্রাকৃতা নারী পথ চিনে নিতে বেড়িয়েছে কোন এক অচেনার সন্ধানে।
বাজে কথা রাখো সন্নেসী ঠাকুর। গর্জন করে ওঠেন বেণী চক্কোত্তি। ঐ মেয়েছেলের ঘরে তোমার থাকা চলবে নি। তাহলে কার ঘরে থাকব বলে দাও! তোমাদের অন্য কোন মেয়ের খবর জানা আছে কি? সন্ন্যাসী হেসেই বলে। কেন, তুমি শিব মন্দিরে আশ্রয় নাও! মাধব ঘোষাল চটজলদি উত্তর দেয়। হুম! সেটা মন্দ বল নি গো; যাই তাহলে গিয়ে রূপমালাকে বলি সব গুছিয়ে মন্দিরে চলে আসতে।
ফাজলামো করো নাকি সন্ন্যাসী ঠাকুর! ডাইন উঠবে শিব মন্দিরে? সকলে হামলে ওঠে। সব্বোনাশ! তোমাদের সাথে ফাজলামো করি, এমন শক্তি কই আমার? আমি ভাবি, বাবার মন্দিরে তো ডাকিনীরই স্বাভাবিক আশ্রয়। তা যাকগে; তোমাদের যখন এতো আপত্তি, রূপমালাকে নিয়ে আমি চলে যাচ্ছি অন্য কোনখানে, তোমাদের নজরের আড়ালে।
রূপমালা বসেই ছিল; সন্নেসীঠাকুর এখনো ফেরে না কেন! হঠাৎই গনা হালদার চুপিচুপি দাওয়ায় উঠে ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,- ওরে রূপী, আজ কতকাল পরে তোরে একটুখানি দেখবোরে! এতকাল সবাই যে কত বুভুক্ষু হয়ে বসেছিল টের পাওয়া গেল প্রায় সারারাত ধরে একের পর এক লাইন লাগানোয়। রূপমালা প্রায় অচৈতন্য; বোধ নেই কি হয়ে চলেছে।
সব খারাপ রাতেরও একটা শেষ আছে; তাই ভোর হয়। রূপমালা কোমর ঘষটে ঘষটে চলে পুকুরের দিকে। হঠাৎই একটা কুকুরের মুখে ওটা কি দেখতে পাওয়া যায়! হাতের ঐ আঁচিল যে বড় চেনা। রূপমালা কন্যে, যেদিন কেউ থাকবে না চোখের সাক্ষাতে, এই আঁচিলই জানিয়ে দেবে মুখ। সন্নেসিঠাকুর! রূপমালা আর্তনাদ করে ওঠে।
ডাইনদের অনেক ক্ষমতার কথা শুনতে পাওয়া যায়। রূপমালাও জানে; বিশ্বাসও করে হয়তো। তবু সে কোন ঝড় ডেকে আনতে পারে না, বইয়ে দিতে পারে না কোন আগুনের স্রোত। রূপমালা কিইবা পারে! তাই সে সন্ন্যাসীর সেই কাটাহাত বুকে আগলে নিশ্চিন্তে পাড়ি দেয় পুকুরের জলে। আশপাশের কেউ টেরও পায় না, পৃথিবীর শেষতমা অতিপ্রাকৃতা নারী পথ চিনে নিতে বেড়িয়েছে কোন এক অচেনার সন্ধানে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন